জয়নগরে তৃণমূল নেতা খু.নে সরাসরি সিপিএম যোগ

এলাকায় একটি দোকান বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা বেড়েছিল নিহত তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিনের সঙ্গে সিপিএম নেতা আনিসুরের। খুনের পিছনে সেটি কারণ কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের (Jaynagar) বামুনগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্কর (Saifuddin Laskar) খুনের ঘটনায় এখনও ক্যাঞ্চল্য রয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক লাখ টাকার ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল খুনিদের। ‘সুপারি’ দিয়েছিল দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্কর।

পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি এলাকায় একটি দোকান বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা বেড়েছিল নিহত তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিনের সঙ্গে সিপিএম নেতা আনিসুরের। খুনের পিছনে সেটি কারণ কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সোমবার কাকভোরে ওই খুনের ঘটনার পর থেকেই আনিসুর বেপাত্তা। তিনটি পৃথক টিম গড়ে তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

সাইফুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই ধাওয়া করে দুই আততায়ীকে ধরে ফেলেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাদেরই একজন একজন সাহাবুদ্দিন শেখ। সে জানিয়েছিল, আনিসুরের নির্দেশেই তার এখানে আসা। এরপর গণপিটুনির মৃত্যু হয় সাহাবুদ্দিনের। শাহারুল নামে অপর এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত আততায়ী জেরায় জানিয়েছে, দলুয়াখাকির নাসির এবং মন্দিরবাজারের টেকপাঁজার বড়ভাই নামে দু’জন তাকে ১ লক্ষ টাকার লোভ দেখিয়ে এখানে এনেছিল।

তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর খুনের ছক বেশ কিছুদিন আগেই কষা হয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। পরিকল্পনা করেই সাইফুদ্দিনের বাড়ির কাছেই একটি ডেরায় রাখা হয়েছিল ‘ভাড়াটে খুনি’ শাহারুলকে। খুনের আগে চারদিন ধরে সে নজরদারি চালাচ্ছিল তৃণমূল নেতার উপর। ভোরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সাইফুদ্দিন যে কার্যত একলা থাকেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই অপারেশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। সেইসঙ্গে পুলিশ জানতে পারে তৃণমূল নেতা খুনে সরাসরি যুক্ত সিপিএম নেতা আনিসুর।

 

 

 

 

Previous articleভাইফোঁটায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? কী জানাল হাওয়া অফিস
Next articleকিউয়িদের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টারের ব.দলা কি মুম্বইতে নিতে পারবে রোহিত, বিরাটরা?