মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড়ে চলছে ভোটগ্রহণ! সকাল থেকেই বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন

মধ্যপ্রদেশে গত বারের মতোই এ বারও কোনও দল তা ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নির্দল ছোট দলগুলির বিধায়কদের ভূমিকা। যদিও একাধিক জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, কংগ্রেস ১১৮-১৩০ আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৯৯-১১১টি আসন।

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। শুক্রবার এই মহা তাৎপর্যপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনগুলির দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ২৩০ আসন এবং ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) বাকি থাকা ৭০ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন সকাল সাতটা থেকেই বুথে বুথে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটদান। এর আগে ৭ নভেম্বর, ছত্তিশগড়ের ২০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। এদিন দুই রাজ্যেই প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপি (BJP)। মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর, ছত্তিশগড়ে উল্টো কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৩ ডিসেম্বর।

২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, মধ্যপ্রদেশে গত বারের মতোই এ বারও কোনও দল তা ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নির্দল ছোট দলগুলির বিধায়কদের ভূমিকা। যদিও একাধিক জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, কংগ্রেস ১১৮-১৩০ আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৯৯-১১১টি আসন। এদিকে মধ্যপ্রদেশে, ২০১৮ থেকে ২০২০ এই দুই বছর বাদ দিলে, একটানা ২০ বছর ক্ষমতায় আছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। তবে, এবার সেই শাসনের অবসান ঘটবে বলে আশা করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভূপেশ বঘেল বনাম টিএস দেও সিংয়ের দ্বন্দ্ব।

ছত্তিশগড় বিধানসভায় মোট ৯০টি আসন। তার মধ্যে মাওবাদী-উপদ্রুত ২০টি আসনে গত ৭ নভেম্বর প্রথম দফা ভোট নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে শুক্রবার। ভোট হচ্ছে রায়পুর, বিলাসপুর, ভিলাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে। দ্বিতীয় দফায় নির্ধারিত হচ্ছে ৯৫৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে প্রধান দুই দল শাসক বিজেপি এবং প্রাক্তন শাসক কংগ্রেস সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। মায়াবতীয় বিএসপি লড়ছে ২৩০টিতে। আসন সমঝোতা না হওয়ায় ‘ইন্ডিয়া’র শরিক সমাজবাদী পার্টি ৮০, আম আদমি পার্টি ৬৯, জেডিইউ ৫, সিপিআই ৯টি এবং সিপিএম ৪টি আসনে আলাদা আলাদা ভাবে লড়ছে। সব মিলিয়ে ২,৫৩৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন রাজ্যের ৫ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি ভোটদাতা।

 

 

 

 

Previous articleধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! রাজ্যে কতদিন চলবে দুর্যোগ? বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
Next articleমনবীরের গোল, কুয়েতকে ১-০-এ হারাল ভারতীয় দল