রূপ বদল ফরাসডাঙার, আলোর মালায় চন্দননগরে শুরু জগদ্ধাত্রী বন্দনা!

শহরজুড়েই থাকবে প্রচুর ব্যারিকেড। এমা.র্জেন্সি সার্ভিসের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সম.স্যা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উৎসবের আমেজ কাটিয়ে বাতাসে মন খারাপের সুর ভাসলেও, হুগলি জেলার ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। দুর্গাপুজোর ঠিক একমাস পরে আবার মাতৃ বন্দনা। এবার মা এসেছেন জগত ধারণকারী জগদ্ধাত্রী (Chandannagar Jagadhhatri Puja)রূপে। বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম উজ্জ্বল এই পুজোর ঐতিহ্য বছরের পর বছর বহন করে আসছে হুগলি নদীর ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা চন্দননগর (Chandannagar)। একসময়ের ফরাসডাঙা এখনকার চন্দননগর, যা জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhhatri Puja) আলোকসজ্জা থেকে সাবেকি পুজোর গরিমাকে অক্ষুন্ন রেখে আগামী পাঁচ দিন ঝলমল করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই চোখ ধাঁধানো আলোক মালায় সেজেছে শহর।

চন্দননগরের মানুষ এক বছরের পুজোর শেষ থেকেই পরের বছরের পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেন। সাবেকিয়ানার ছোঁয়ায় এখনও অটুট এখানকার জগদ্ধাত্রী আরাধনা। রীতি মেনে উপচারের পাশাপাশি সৃষ্টিশীল ভাবনায় আলোকসজ্জায় প্রত্যেক বছর নিত্য নতুন বৈচিত্র দেখা যায়। শুক্রবার চতুর্থীর বিকেলে কলকাতার পোস্তা থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরই চন্দননগর থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen)। পুজোর দিনগুলো দুপুর ২টোর পর থেকে চারচাকা চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটর বাইকের জন্যও থাকছে বিশেষ এন্ট্রি পাস। নো-এন্ট্রি জ়োন বাড়বে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিড় দেখে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরজুড়েই থাকবে প্রচুর ব্যারিকেড। এমার্জেন্সি সার্ভিসের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

Previous article‘ভারতের শক্তি-দুর্বলতা আমরা জানি’, ফাইনালে নামার আগে হু.ঙ্কার এই অজি ক্রিকেটারের
Next articleওপেনএআই-র সিইও পদ থেকে অপসারিত অল্টম্যান! নয়া দায়িত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মীরা