মিডিয়াকে নয়, বিধানসভাকে জানানো উচিৎ ছিল রাজ্যপালের: বিল নিয়ে ফের সরব স্পিকার

ফের রাজভবনে বিল আটকে থাকা নিয়ে ফের সরব বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বুধবার, বিধানসভায় (Assembly) বিএ কমিটির বৈঠক ও সর্বদল বৈঠক ছিল। এরপরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজভবনে বিল আটকে থাকা নিয়ে সরব হন অধ্যক্ষ। বলেন, “রাজ্যপাল কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা চাইতেই পারেন। কিন্তু বিলটির বর্তমান অবস্থা কী- তা বিধানসভাকেই জানাতে হবে। সংবাদ মাধ্যমকে না জানিয়ে রাজ্যপালের উচিত ছিল বিধানসভার মর্যাদা দিয়ে সেখানেই এই বিষয়ে জানানো।“ এরপরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভার কে মর্যাদা দেওয়া উচিত ছিল। হয়তো ওনাকে (রাজ্যপালকে) কেউ ভুল বুঝিয়েছে, তাই এই পদক্ষেপ।“

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, “আমরা বলেছিলাম ২২ টি বিল পেন্ডিং আছে। সেটা বাস্তব। ওই ২২টা বিলে কী হয়েছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পর্যন্ত বাদ দিলে কিছুই আজ পর্যন্ত বিধানসভা জানে না। কোন বিলের ব্যাখ্যা চেয়েছেন, কোন বিল উনি ধরে রেখেছেন তা বিধানসভার জানা দরকার। বাস্তবে এই তথ্যই আজ পর্যন্ত আসেনি“।

২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন ৷ তার আগে বুধবার হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক ৷ যদিও এবারও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল বিজেপি ৷ ছিলেন না ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও আইএসএফ বলে কোনও দলের বিধায়ক বিধানসভায় নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ভাঙড়ের বিধায়ক মজলিশ পার্টি, নির্দল হিসেবে আছেন।

বিধানসভা অধিবেশন চলছে। অথচ তাতে উপস্থিত নেই বিধায়ক- এই পরিস্থিতি আর চায় না শাসকদল। সেই কারণে নেওয়া হচ্ছে কড়া পদক্ষেপ। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশন থেকেই বিধায়কদের হাজিরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের বিজনেস অ্যাডভাইসরির বৈঠক থেকে বিধানসভার বৈঠকে দলের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলেছে তৃণমূল।

 

২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর বিধানসভা অধিবেশনের চলবে। ২৪ নভেম্বর শুক্রবার। শনি-রবি ছুটি। সোমবার গুরুপূর্ণিমার ছুটি হওয়ায় অধিবেশন বসবে না। ফলে পরে আবার অধিবেশন হবে ২৮, ২৯ এবং ৩০ নভেম্বর। স্পিকার জানিয়েছেন, এই চার দিনে বিধানসভায় আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন: NRS-এ ধু.ন্ধুমার! ইন্টার্ন ডাক্তারদের বে.ধড়ক মা.রধরের অভিযোগে গ্রে.ফতার ৩

২৮ তারিখ সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংবিধান নিয়েই আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্পিকার জানান, “সবাই মনে করছে সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। ইডি-সিবিআই নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলব না। সেদিন সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য ২ ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে।“ ২৯ তারিখ বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিল পেশ করা হবে বিধানসভায়। তা নিয়েও আলোচনা হবে। ৩০ নভেম্বর মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিল আনা হবে বিধানসভায় এবং এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে ৩০ তারিখের পরও বিধানসভার অধিবেশন চলবে কি না সে বিষয়ে ২৯ নভেম্বর সিদ্ধান্ত হবে। বিজনেস অ্যাডভাইসরির বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

Previous articleপরতে পরতে চমক! ফের OpenAI-এর CEO পদে স্যাম অল্টম্যান, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?
Next articleফের আইবিএসএফ বিশ্ব বিলিয়ার্ডস চ্যাম্পিয়নশিপ  জিতলেন পঙ্কজ আদবানি