তাজপুর নিয়ে বিজেপির মি.থ্যাচারের জ.বাব দিলেন কুণাল

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিনে তাজপুরের গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, তাজপুর বন্দরের পরিকাঠামো তৈরি যে কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর স্বভাবসিদ্ধভাবে কুৎসা, মিত্যাচার, অপপ্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাজপুর নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

যদিও বিজেপির মিথ্যাচারের জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাজপুর প্রস্তাবিত সমুদ্রবন্দর নিয়ে বিজেপি নেতাদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। কুণাল ঘোষ বলেন, “তাজপুর নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছেন। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে যে শিল্পপতিরা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এসেছেন, যে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে রাজ্যে, সেদিকে বিজেপির নজর নেই। মিথ্যাচার করে তাজপুর নিয়ে হাস্যকর, অমূলক,শিশুসুলভ প্রলাপ বকছে বিজেপি।”

কুণাল ঘোষের সংযোজন, “সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী বা আশেপাশের ঘরবাড়ি কোনও ক্ষতি হয় এমন কোনও সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন না। মানুষের ক্ষতি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কাজ করবেন না। মানুষের যাতে উপকার হয় সেটাই তিনি করবেন। বিজেপি যেন সিপিএমের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুলিয়ে না ফেলে। এই সরকার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের মতো আত্মসমর্পণ করে না। এই সরকার মাথা উঁচু করে চলে। এই সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করতে জানে। বিজেপি চিরকুট দেখিয়ে দেখিয়ে শিশুসুলভভাবে অপপ্রচার বন্ধ করুক। বিজেপি আসলে শিল্প সম্মেলন দেখে দিশাহারা।”

তাজপুর বিতর্কে জল ঢেলে কুণাল আরও জানান, রাজ্য সরকার একটি সমুদ্র বন্দর চায়। আজ না হলে আগামীতে সেটা হবেই। একাধিক শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা চলছে। রাজ্য সরকার সমীক্ষা করেই কাজ করবে। এটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সরকার নয়, যে টাটা তিন ফসলী জমি চাইলে সেটাই দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন, মানুষের ক্ষতির জন্য নয়। এবং বন্দর হলে সেটা আলোচনার মাধ্যমেই হবে।

আরও পড়ুন- বাংলার ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং পলিসিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে বিনিয়োগের আশা

Previous articleবাংলার ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং পলিসিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে বিনিয়োগের আশা
Next articleফের র.ক্তাক্ত কাশ্মীর! রাজৌরিতে জ.ঙ্গির গু.লিতে শ.হিদ ২ জওয়ান