হামাসের কবল থেকে মেয়ের মুক্তিতে খুশি রেগেব দম্পতি, কিন্তু…

২৫ নভেম্বর ২০২৩, ৫০ দিন পর ১৩ পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। তাঁদের সঙ্গেই মুক্তি পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী মায়া রেগেব। পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে যে ভ্যান পাঠানো হয়েছিল ক্র্যাচে ভর দিয়ে সেই ভ্যানে ফিরে এসেছেন মায়া। তবে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে হামাসের দ্বারা অপহৃত মায়ার ১৮ বছর বয়সী ভাই ইতাই-এর কোনও খোঁজ নেই এখনও। এক সন্তানকে ফিরে পেলেও আর একজনের দুশ্চিন্তা কিছুতেই কাটছে না ইজরায়েলের রেগেব দম্পতির।

৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে ইজরায়েলের হামলার পর প্রাণ বাঁচাতে দৌড়চ্ছিলেন মায়া। সেই সময় বাবা ইলান রেগেবকে ফোন করেন তিনি। আতঙ্কিত কন্ঠে ফোনে মায়া বলেন, “ওরা আমাকে মারছে। আমাকে গুলি করেছে। আমি গাড়ির পিছনে লুকিয়ে আছি। ওরা আমাদের গুলি করে মারছে।” ফোনে মেয়েকে বার বার লোকেশন শেয়ার করতে বলছিলেন তাঁর বাবা। যদিও তার আগেই ফোন কেটে যায়। সেই শেষ কথা তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি মায়ার সঙ্গে। এরপর থেকে সীমান্তবর্তী সমস্ত হাসপাতালে সন্তানদের খোঁজ করে গিয়েছেন মায়া ও ইতাইয়ের পিতা ইলান রেগেব। যদিও তাঁদের কোনও সন্ধান মেলেনি। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যায় ট্রাকের পিছনে ইতাইককে বাঁধছে হামাস জঙ্গিরা। ছেলেকে যে হামাস বন্দি করেছে সে কথা জানতে পারলেও মেয়ে কি অবস্থায়, কোথায় আছে তা জানতে পারেনি রেগেব দম্পতি। দীর্ঘ ৫০ দিন পর মেয়ে বাড়ি ফিরলেও উদ্বেগ এখনও কাটছে না।

দীর্ঘ ৫০ দিন পর মেয়ের ফেরার খবরে মা মিরিট রেগেব বলেন, শেষবার ওই ফোনকলে মেয়ের কণ্ঠস্বর শুনেছিলাম আমি। তারপর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত আমাদের উদ্বেগে কেটেছে। আমি অত্যন্ত খুশি যে আমার মেয়ে ফিরে আসছে। আমি ওকে জড়িয়ে ধরতে চাই। কিন্তু আমার ছেলে এখনও হামাসের হাতে বন্দি। সকল বন্দির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা চুপ থাকব না। দুই সন্তান যাতে বাড়ি ফিরে আসে তার জন্য বারবার ইজরায়েল সরকারের কাছে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন ইলান রেগেব। এমনকি আমেরিকার ইজরায়েলি দূতাবাসও বাবার থেকে মায়ার বিচ্ছেদের একটি গ্রাফিক্যাল ভিডিও শেয়ার করেছিল।

এদিকে মায়ার পাশাপাশি গত শনিবার আরও ১২ জন পণবন্দি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে ৩ শিশুও রয়েছে যাদের বয়স ১০ বছরেরও কম। মায়ের সঙ্গে হামাসের হাতে বন্দি হয়েছিল ৫ বছর বয়সী রোজ ও তার ৩ বছর বয়সী বোন। শনিবার তিনজনকেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাবার কাছে ফিরতে পেরে রোজ বলে, আমি বন্দি থাকাকালীন প্রতিদিন বাড়ি ফেরার স্বপ্ন দেখতাম। হামাস ১৩ জনকে মুক্তি দিলেও তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের পরিবার এখনও হামাসের হাতে বন্দি।

Previous articleতাজপুরে আদানির প্রকল্প পূর্ণমাত্রায় সক্রিয়, ‘বা.ধা দিচ্ছে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক: শশী
Next articleশুরু গঙ্গাসাগর মেলার তোড়জোড়, সব যানে GPS ট্র্যাকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নবান্নের বৈঠকে