তাজপুরে আদানির প্রকল্প পূর্ণমাত্রায় সক্রিয়, ‘বা.ধা দিচ্ছে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক: শশী

বাংলায় শিল্পস্থাপনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেশ কিছু বিষয় নিয়েই তাদের ছাড়পত্র না মেলায় আটকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। অভিযোগ রাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজার (Shashi Panja)। তিনি জানান, তাজপুরে আদানির প্রকল্প পূর্ণমাত্রায় সক্রিয়। বাধা আসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পর্যবেক্ষণের জেরেই আটকে রয়েছে এই প্রকল্প। জট কাটানোর চেষ্টায় আলোচনা চলছে। রবিবার, দিল্লিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন শশী পাঁজা (Shashi Panja)।

শশী পাঁজা জানান, তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group) একটি প্রাথমিক ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি নিয়ে,কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়া এখনও বাকি রয়েছে। মন্ত্রী জানান, তাজপুরের জন্য ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা, বিদেশ এবং জাহাজ মন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। সেটি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে- রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে। শশী বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কথাই বলতে এসেছি।

আরও পড়ুন: চিন-সহ বিদেশ থেকে আমদানি করা সামগ্রীর দাম কম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা শুল্ক ফাঁ.কি!

রাজ্যে আদানির শিল্পর স্থাপন নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা কথা রটাচ্ছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। তাদের দাবি, তাজপুরে না কি বিনিয়োগ করছেই না আদানি গোষ্ঠী। এদিন এই বিষয় নিয়ে শশীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, তাজপুর প্রকল্পটি নিয়ে বিরোধীদের এই কথা একেবারেই ভিত্তিহীন। তারা কিছুই জানে না। অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, গুজবে কান দেবেন না।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এই প্রথমবার পুরস্কৃত হতে চলেছে বাংলার প্যাভিলিয়ন। শশী পাঁজা জানিয়েছেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলার মোট ১৬টি স্টল ছিল। তারমধ্যে ক্ষুদ্র শিল্প, আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রতি চালু করা বাংলার শাড়ির স্টলও রয়েছে। বাংলার স্টল এবারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে এদিন জানান শশী। সোমবার প্রগতি ময়দানেই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় তিনটি দপ্তর প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছে। বাংলার শাড়ি,পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর এবং ট্রাইবাল দফতর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রাখা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের জন্য পুরস্কার পেয়েছে বাংলা ।

Previous articleভারতীয় দল দ্বিতীয় শামি পেয়ে গিয়েছে, বললেন অশ্বিন
Next articleহামাসের কবল থেকে মেয়ের মুক্তিতে খুশি রেগেব দম্পতি, কিন্তু…