নিমতৌড়ির সভায় ‘গ.দ্দার’কে তু.লোধনা! পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া ফুলে জোড়া আসনের ডাক কুণালের

নজরে লোকসভা নির্বাচন। সোমবার, পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ির দলীয় সভা থেকে জোড়া ফুলে জোড়া আসনের আহ্বান জানালেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামে গ্রামে চাটাই বৈঠক ফেরানোর কথাও বলেন তিনি৷

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বেশ কিছু বার্তা দেন তৃণমূল (Kunal Ghosh) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ সেই সঙ্গে দলবদলু বিজেপি বিধায়ককে তুলোধনা করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, সামনেই লোকসভা নির্বাচন৷ দিল্লিতে সরকার পরিবর্তন হওয়ার একমাসের মধ্যেই গদ্দার গ্রেফতার হবে৷ কুণালের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দুটি আসন জিতলে গদ্দারকে গণতান্ত্রিকভাবে থাপ্পড় মারা হবে। সেখানেই জোড়া ফুলে জোড়া আসনের ডাক দেন কুণাল৷

এই স্লোগানকে সামনে রেখে দলের সর্বস্তরের নেতা–কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বেন মাঠে–ময়দানে৷ টিম তৃণমূল একযোগে মানুষের কাছে যাবে৷ এই জেলায় গ্রামে গ্রামে যে চাটাই বৈঠক একসময় ব্যাপকভাবে হয়েছিল সেই চাটাই বৈঠক আবার শুরু করতে হবে৷ কুণালের কথায়, শ্রোতা যদি মাটিতে বসে শোনেন, বক্তাও মাটিতে দাঁড়িয়েই বলবেন৷ তাঁর সংযোজন, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও সামাজিক প্রকল্পগুলিকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে৷ তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে৷

এদিন গদ্দারকে ধুয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, ও পরিবারতন্ত্রের কথা বলে বারবার৷ কোন মুখে বলে? নিজের পরিবারের সবাইকে সব পদ পাইয়ে দিয়েছে৷ তার থেকেও বড় কথা, যে নিজের বাবার ভাল চায় না, সে পূর্ব মেদিনীপুরের ভাল কী করে করবে? ও তো শিশির অধিকারীর শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল৷ ওর সব চাই!

দলের কর্মীদের প্রতি কুণালের বার্তা, “এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামুন৷ বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না৷ নতুন বক্তা তুলে আনুন৷ নতুনদের সুযোগ দিন৷ সিনিয়ররা মাথার উপর থেকে তাঁদের গাইড করুন৷ বিজেপি বিধায়ক বারবার ১৯৫৬–র কথা বলে৷ কিন্তু পঞ্চায়েতে ও জেলাপরিষদে ১০ হাজার ৪০০–র বেশি ভোটে তৃণমূলের কাছে হেরে বসে আছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাজ করছেন৷ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, বাকিটা আমাদের করতে হবে৷ অভিষেক কথা দিলে কথা রাখেন৷ আজকেই বঞ্চিতদের বাড়িতে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি৷”

রাজ্যওয়াড়ি বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে না৷ কোনও কোনও জায়গায় তারা সর্বোচ্চ ভাল ফল করেছে, কিন্তু আর এগোতে পারবে না ওরা৷ কংগ্রেস–সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন রাজ্যে যদি তারা দায়িত্ব পালন করে তৃণমূলও বাংলায় বিজেপিকে বুঝে নেবে৷ প্রধানমন্ত্রী এখন তেজস ওড়াচ্ছেন, বিশ্বকাপ দেখছেন অথচ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সামনে গিয়ে একবার দাঁড়াতে পারলেন না৷ এদিনের সভায় তমলুক সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, ফিরোজা বিবি, তিলক চক্রবর্তী, মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, সুকুমার দে, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ–সহ অন্যরা৷ ভিড় উপচে পড়া নিমতৌড়ির সভায়।

আরও পড়ুন- এপিসি রোডে মা-ছেলের ঝু.লন্ত দেহ ঘিরে চা.ঞ্চল্য

 

 

Previous articleএপিসি রোডে মা-ছেলের ঝু.লন্ত দেহ ঘিরে চা.ঞ্চল্য
Next articleবাবরের পারফরম্যান্স নিয়ে খোঁচা অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের, ভাইরাল পোস্ট