আজ কী ঘটেছিল?

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৬-২০০৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। পড়েছিলেন ডাক্তারি, হয়ে গেলেন নায়ক! ডাক্তারি পড়তে পড়তেই আইপিটিএ–তে যোগ দেন। সাল ১৯৬৫, আইপিটিএ-এর মঞ্চে তাঁকে দেখে পরিচালক মৃণাল সেন চিন্তা করেন তাঁর ছবি ‘আকাশকুসুম’-এর জন্য। ডেবিউ ছবির পরেই সুযোগ এল শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ ছবিতে। তার পরের বছর ‘হংসমিথুন’ ও ‘চৌরঙ্গী’। এর পর একের পর এক সিনেমা। তবে সিনেমার গণ্ডির মধ্যে আটকা ছিলেন না শুভেন্দু। অভিনয়ের সবরকম স্তরে তিনি কাজ করেছেন। ‘এমন একটা মানুষ চাই’, ‘নকল স্বামীর ঘর’-এর মতো বেশ কয়েকটি যাত্রাও করেছেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি করেছেন ‘কালবৈশাখী’, ‘অমরকণ্টক’, ‘বধূবরণ’-এর মতো প্রফেশনাল নাটক। ছোট পর্দাতে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ‘ড. মুন্সির ডায়েরি’, ‘এই তো জীবন’ ইত্যাদি।

জে আর ডি টাটা (১৯০৪-১৯৯৩) এদিন প্রয়াত হন। পুরো নাম জাহাঙ্গির রতনজি দাদাভাই টাটা। উদ্যোগপতি, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং টাটা সন্সের অংশীদার। ভারতের প্রথম ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন। বৈজ্ঞানিক ডক্টর এইচ জে ভাবার সঙ্গে মিলিতভাবে নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টার খুলেছিলেন। শ্রমিকদের জন্য তিনিই প্রথমবার ৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম চালু করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই দেশে প্রথমবার প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু হয়। তিনি ভারতে ইস্যু করা প্রথম পাইলট লাইসেন্স পেয়েছিলেন। পরে তিনি ভারতীয় নাগরিক বিমানের জনক হিসাবে পরিচিতি পান। তিনি ১৯৩৩ সালে ভারতের প্রথম বাণিজ্যিক বিমান সংস্থা টাটা এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা পরবর্তীকালে এয়ার ইন্ডিয়ায় পরিণত হয়। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, টাটা মোটরস, টাইটান ইন্ডাস্ট্রিজ, টাটা সল্ট, ভোল্টাস এবং এয়ার ইন্ডিয়া-সহ টাটা গ্রুপের অধীনে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পোদ্যোগে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মবিভূষণ ও ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।

হাজি মুহাম্মদ মুহসীন(১৭৩২-১৮১২) এদিন প্রয়াত হন। নিজের সকল সম্পত্তি দান করা, শিক্ষা ও সামাজিক সংস্কারে ব্যয় করার জন্য ‘দানবীর’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন তিনি। অকৃতদার, অবৈষয়িক মুহসীন তাঁর জীবনে বহু দেশ ঘুরেছেন। জীবন সম্পর্কে তাঁর গড়ে উঠেছিল আলাদা ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি। ফলে তিনি যখন বোনের কাছ থেকে বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন, কয়েক বছরের মধ্যে সেগুলোর দানপত্র লিখে দিয়ে কোরান শরিফ কপি করে বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর দানের তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলি মহসীন কলেজ। এরপরে হুগলি কলেজিয়েট স্কুল, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল, হুগলি মাদ্রাসা, সীতাপুর মাদ্রাসা, ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহি ও খুলনায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।

 

১৯৫৫ বুলগানিন ও ক্রুশ্চেভ এলেন কলকাতায়। পরেরদিন এই দুই সোভিয়েত নেতা সংবর্ধিত হন ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে। সে সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আনন্দবাজার পত্রিকা লেখে, ‍‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সুপ্রশস্ত চত্বর হইতে ডালহৌসি স্কোয়ার পর্যন্ত, চৌরঙ্গী হইতে ফোর্ট উইলিয়ামের উচ্চ ভূখণ্ড পর্যন্ত যদি একটি চতুঃসীমা টানা যায় এবং ইহার মধ্যে যদি এই সমাবেশ কল্পনা করা যায়, তবে কত লোক হইবে? কত লক্ষ? বারেবারে আশঙ্কা হইয়াছে যাই বলি না কেন, তাহা কম হইয়া যাইবে। এ তো শুধু সমাবেশ নয়, এই কল্পিত চতুঃসীমা প্রশান্ত মহাসাগরের উদ্দেশে এ যেন দ্রুত ধাবমান্য অসংখ্য স্রোতস্বতী।’

প্রমথেশ বড়ুয়া (১৯০৩-১৯৫১) এদিন মারা যান। অসমের গৌরীপুরের বড় রাজকুমার প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া। তবে এই পরিচয়কে ছাপিয়ে গিয়েছিল তাঁর অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক সত্তা। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি পুরুষ। ‘অপরাধী’ ছবিতে তিনি সর্বপ্রথম কৃত্রিম আলোর ব্যবহার করেন এবং সেটাই ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রথম কৃত্রিম আলোর ব্যবহার। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনি ‘দেবদাস’ ছবিতে ফ্ল্যাশ ব্যাক মন্তাজ, টেলিপ্যাথি শট এবং সাবজেকটিভ ক্যামেরার ব্যবহার করেন।

Previous articleযুদ্ধ নয়, শান্তি চাই: পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সেনা পরিবারের সদস্যদের
Next articleজাপানের মাঝ সমুদ্রে ভে.ঙে পড়ল মার্কিন সা.মরিক বিমান! নি.খোঁজ ৮ আরোহী, বাড়ছে উ.দ্বেগ