স্রেফ ভাঁ.ওতাবা.জি! গ্রামে কমছে শৌ.চালয় ব্যবহার, বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট ধা.মাচাপা দিয়ে নিজেদের সাফল্য প্রচারে কেন্দ্র

মোদির ‍‘স্বচ্ছ ভারত’ স্লোগানের ভাঁওতাবাজি এবার ধরা পড়ে গেল। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সাফল্য প্রচার করতে গিয়ে স্বচ্ছ ভারতের ঢাক পেটালেও বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ভারতেই ব্যাপক হারে কমেছে শৌচালয়ের ব্যবহার। এমনকী এই সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য উল্লেখ করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রকৃত রিপোর্ট যাতে ধামাচাপা দেওয়া যায় সেজন্য এই কাজ করেছে কেন্দ্র।

দেশের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত রিপোর্টে ঠিক কী উঠে এসেছে? গত ৫ বছরে গ্রামীণ ভারতের শৌচালয় এবং সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। বিভিন্ন স্বাধীন সংস্থার থেকে তথ্য নিয়ে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শৌচালয়ের ব্যবহার সবচেয়ে কম হয়েছে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে। তফসিলি জাতিভুক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ কমেছে শৌচালয় ব্যবহার। অন্যদিকে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে শৌচালয়ের ব্যবহার কমার হার ২৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে গ্রামীণ ভারতের ৮৭ শতাংশ মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করেছেন। আর ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মোট গ্রামীণ বাসিন্দাদের এক-তৃতীয়াংশ নিয়মিত কোনও শৌচালয় ব্যবহার করেনি। সরকারি সূত্রের খবর, স্বচ্ছতা সম্পর্কিত প্রকৃত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই মোদি সরকারের দিক থেকে বিশ্বব্যাঙ্কের উপর ব্যাপক চাপ তৈরি করা হয়। তারপরেই সেই রিপোর্ট প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় বিশ্বব্যাঙ্ক।

উল্লেখ্য, জলশক্তি মন্ত্রক স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দায়িত্বে রয়েছে। মন্ত্রকের তরফে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রথমদিকে ফল ভাল হলেও ২০১৮-১৯ সাল থেকে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যেও নিয়মিত শৌচালয় ব্যবহার কমতে শুরু করে। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট নিয়ে এক বিবৃতিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, তথ্য পরিসংখ্যান গোপন এবং স্বচ্ছ ভারত নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পরিবর্তে প্রয়োজন, ভারতে শৌচালয়ের ব্যবহার নিয়ে স্বচ্ছ অডিট এবং বাজেট কমানো বন্ধ করা। ২০১৪ সাল থেকে যেখানে ভারতে রক্তাল্পতা, শিশুদের অপুষ্টির হার বাড়ছে, সেখানে প্রচারের পরিবর্তে গঠনমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- রবি নয়, সোমবার হবে মিজোরামের ভোট গণনা! কিন্তু কেন?

Previous articleঅস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ভারতের
Next articleযু.দ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরোনোর আগেই শুরু সংঘ.র্ষ! ফের উ.ত্ত.প্ত গাজা