সন্তোষ দত্ত (১৯২৫-১৯৮৮) এদিন জন্ম নেন। তিনি বাংলা ছবির সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন। বেশিরভাগ দর্শক তাঁকে মনে রেখেছেন ‘ফেলুদা’ সিরিজের জটায়ু অথবা ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর শুন্ডি রাজা হিসেবে। পেশাজীবনে ক্রিমিনাল ল’ইয়ার হিসাবে আদালতে সওয়াল করতেন। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সন্তোষ দত্ত প্রবল ব্যক্তিত্ব নিয়ে তুখোড় ইংরেজিতে একের পর এক প্রশ্নবাণে ধরাশায়ী করে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। এই দৃশ্য দেখতে দেখতে গুলিয়ে যেত, এই লোকই সত্যজিৎ রায়ের ছবির সেই চরিত্র, যে, একটা সঠিক ইংরেজি বলতে গিয়ে দশবার হোঁচট খেয়েও শেষমেশ অবধারিত ভাবেই ভুল বলে। কিংবা প্রচণ্ড সিরিয়াস কন্ডিশনে দুরন্ত টাইমিংয়ে ফেলুদা আর তোপসের মাঝে জবুথবু হয়ে বসে হঠাৎ প্রশ্ন করে ফেলে, “উট কি কাঁটা বেছে খায়?” এটা সন্তোষ দত্তই পারতেন।

স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৪-১৯১৮) এদিন প্রয়াত হন। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তিনিই প্রথম ভারতীয় ভাইস চ্যান্সেলর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ১৬ বছর বিচারকের কাজ করার পর স্বেচ্ছায় অবসর নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার চর্চা আবশ্যিক করার এবং বাংলা মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রচলনের চেষ্টায় তাঁর বিপুল অবদান ছিল। মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে আগ্রহী ছিলেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ফেডারেশন হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কালে অনবদ্য বক্তৃতা করেন।

১৮৮০ ক্ষিতিমোহন সেন (১৮৮০-১৯৬০) এদিন কাশীতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বভারতীর অধ্যক্ষরূপে কর্মজীবন শেষ করেন। কিছুদিন বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। সন্তদের বাণী, বাউল গান ও সাধনতত্ত্ব সংগ্রহে তাঁর কৃতিত্ব বিশেষভাবে স্মরণীয়। ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি পান। বিশ্ববিখ্যাত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাঁর নাতি।

২০০১ সালে মার্কিন সংস্থা এনরন দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয়। হিসাবনিকাশে ব্যাপক দুর্নীতি সামনে আসার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। একদা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম সংস্থা ছিল এটি। মূলত বিদ্যুৎ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা।
১৮৯৮ ইন্দ্রলাল রায় (১৮৯৮-১৯১৮) এদিন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বিলাত যান। তিনিই ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে প্রথম বাঙালি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। বিমান বাহিনীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘ডিএফসি’ উপাধি লাভ করেন। ৭টি শত্রু বিমান ধ্বংস করার পর ফ্রান্সের ক্যালে অঞ্চলে নিহত হন। তাঁর কবরে লেখা আছে, ‘মহাবীরের সমাধি, সম্ভ্রম দেখাও, ছুঁয়ো না’।

১৯৯১ বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) এদিন প্রয়াত হন। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘চাই’। ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাস তাঁর অন্যতম গ্রন্থ। এরপর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ করেন। তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘একক দশক শতক’, ‘চলো কলকাতা’, ‘পতি পরম গুরু’, ‘বেগম মেরী বিশ্বাস’ ইত্যাদি। পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার। ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসে তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি সমাজের ছবি তুলে ধরেছিলেন। বাড়ির কর্তা নানা বিলাসিতায় দেদার টাকা খরচ করেন। বাইজি বাড়িতেও স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করেন অথচ বাড়ির মেয়েদের রাখা হয় বজ্রআঁটুনির মধ্যে। ইন্দিরা দেবীচৌধুরানী বলেছিলেন, ‘এ বই নোবেল পাওয়ার যোগ্য।’

১৮০৪নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন এদিন। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পোপ সপ্তম পায়াস।
