গাজা ইস্যুতে একঘরে ইজরায়েল! নেতানিয়াহুর অ.নড় মনোভাবে এবার বেসুরো আমেরিকা

দিও বাইডেন মঙ্গলবারই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, গাজায় যেভাবে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েল, তাতে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন খোয়ানোর দিকে এগোচ্ছে তারা।

ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গে হামাসের (Hamas) সংঘর্ষের জেরে প্রতিমুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বনধের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘে গাজায় (Gaza Strip) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হয়। তাতে ভারত সমর্থন জানালেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছে আমেরিকা (America)। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? কেন ইজরায়েলের থেকে ক্রমশ মুখ সরিয়ে নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন? উল্লেখ্য, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছুটে গিয়েছিলেন ইজরায়েলে। এভাবে যুদ্ধ করা ঠিক নয় বলে নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) বারবার অনুরোধও জানিয়েছিলেন বাইডেন (Joe Biden)। এমনকি বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানদেরও যুদ্ধ থামাতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আচমকা কী এমন হল যে রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরোধিতা করল আমেরিকা?

জানা গিয়েছে, হামাসের হামলায় জেরে রীতিমতো রেগে আগুন ইজরায়েল। গাজায় রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। শিশু-মহিলা থেকে শুরু করে কিশোর প্রবীণদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ইজরায়েলকে বারবার হামলা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে ইজরায়েল নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। কিছুতেই হামলা বন্ধ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে গাজার বাসিন্দাদের চরম দুর্দশার কথা ভেবে হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রসংঘ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘ একটি প্রস্তাব পেশ করে সাধারণ সভায় প্রস্তাব রাখে ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং নিঃশর্তে বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সাধারণ সভায় সেই প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি নেওয়া হয়। সেই ভোটাভুটিতে ভারত পক্ষে ভোট দিলেও আমেরিকা সহ ১০টি দেশ বিরুদ্ধে ভোট দেয়। আর ভোট দান থেকে বিরত থাকে ২৩টি দেশ। আর আমেরিকার এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি বাইডেন সরকার চাইছেন গাজায় হত্যালীলা চলুক?

যদিও বাইডেন মঙ্গলবারই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, গাজায় যেভাবে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েল, তাতে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন খোয়ানোর দিকে এগোচ্ছে তারা। শুধু তাই নয়, প্যালেস্টাইন নিয়ে অবিলম্বে অবস্থান পাল্টানো উচিত নেতানিয়াহুর। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গাজায় শাসনকার্য চালানো নিয়েই মতভেদ দেখা দিয়েছে।

 

 

 

 

Previous articleভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই! বিশ্বভারতী মামলায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি সেনগুপ্ত
Next articleপ্র.য়াত ‘সিংঘম’ খ্যাত অভিনেতা রবীন্দ্র বের্দে, শোকাহ.ত বলিউড!