কেন্দ্র সরকারের আইন অনুযায়ী রাজ্যে শুরু হল প্রাণির দেহাংশ নষ্টের প্রক্রিয়া। সেই মতো মঙ্গলবার নষ্ট করা হল প্রায় ২১ কোটি টাকার হাতির দাঁত। বন দফতরের বাঁকুড়া ডিভিশনের অধীনে থাকা প্রায় ২৭০ কেজি হাতির দাঁত নষ্ট করা হল বলে জানান আধিকারিকরা। এরপর অন্যান্য ডিভিশনের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রাণির দেহাংশ নষ্ট করা হবে।
কেন্দ্র সরকারের ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তৈরি আইন অনুযায়ী বনদফতরের সংগ্রহে থাকা দীর্ঘদিনের প্রাণির সব ধরনের দেহাংশ নষ্ট করে ফেলতে হবে। যাতে তা ভবিষ্যতে কোনওভাবেই বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার না হতে পারে। পাশাপাশি এতে বেআইনি পশু শিকারীদের কাছেও একটি কড়া বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। সেই আইন অনুযায়ী নিজেদের অধীনে থাকা প্রাণির দেহাংশ নষ্ট করার কাজ শুরু করল রাজ্য বন দফতর। আধিকারিকদের দাবি রাজ্যের ভাণ্ডারে এই রকম কয়েক কুইন্টাল হাতির দাঁত রয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় যে সব হাতির মৃত্যু হয়েছে তাদের দাঁত সংরক্ষণ করে রাখা থাকে। হাতির দাঁত পোড়াতে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় ও যে সময় লাগে তার কথা ভেবেই এই সংরক্ষণ। পাশাপাশি চোরাচালানকারীদের থেকে উদ্ধার হওয়ার হাতির দাঁতও সংরক্ষিত থাকে বন দফতরের কাছে।
একসঙ্গে এত প্রাণি দেহাংশ নষ্ট করা সম্ভব না বলে রাজ্যের সব ডিভিশনকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে এই নষ্ট করার নিয়ম জানিয়ে। মঙ্গলবার বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট পোড়ানোর জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেই যন্ত্রে ৫০টিরও বেশি হাতির দাঁত নষ্ট করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে নষ্ট করার প্রক্রিয়া শেষ হতে। বন দফতর সংগ্রহ করবে এই পোড়া ছাই। তাঁদের পরিকল্পনা, এই ছাইয়ের সঙ্গে সিমেন্ট যোগ করে বিভিন্ন হাতের কাজের জিনিস তৈরি করা যেতে পারে।