আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯২৪

হিটলার এদিন ল্যান্ডসবার্গ জেল থেকে ছাড়া পেলেন। বিচারে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। কিন্তু মাত্র নয় মাস জেলে থাকার পরই তাঁর কারামুক্তি ঘটে। ১৯২৩ এর ৮ ও ৯ নভেম্বর ভাইমার প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবের চেষ্টা করার কারণে তিনি গ্রেফতার হন। সেবার প্রায় ২০০০ নাৎসি কর্মী–সমর্থক মিছিল করে মিউনিখ শহরের কেন্দ্রে যায়। পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে ১৬ জন নাৎসি নিহত হন। এই ঘটনার জেরেই বিশ্ব জুড়ে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে হিটলারের নাম। প্রচারের আলো পড়ে তাঁর মুখে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন হিটলার। তবে এবার আর সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে নয়, রাজনৈতিক ভাবে জনমত নিজেদের দিকে টেনে এনে ক্ষমতা দখল করার দিকে নজর দেন হিটলার ও তাঁর বাহিনী।

১৯১৯

খালেদ চৌধুরী (১৯১৯-২০১৪) এদিন অসমের করিমগঞ্জের দাসগ্রামে, মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। নাট্যমঞ্চের অনন্য স্থপতি নাট্য ব্যক্তিত্ব খালেদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন একাধারে মঞ্চপরিকল্পক, প্রচ্ছদশিল্পী, সংগীতজ্ঞ, লোকশিল্প সংগ্রাহক ও লেখক। আত্মীয় গুরুসদয় দত্তের দেওয়া নাম চিরকুমার থেকে ভাইদের নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পিতার দেওয়া পরিবর্তিত নামে তিনি হয়ে যান চিররঞ্জন দত্তচৌধুরী। যৌবনেই বাড়িতে হিন্দুধর্মের গোঁড়ামিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গৃহত্যাগ করেন এবং নিজের নাম পালটে পরিচিত হন খালেদ চৌধুরী নামে। তিনি যেসব মঞ্চনাটক পরিকল্পনা করেন সেগুলো হল : পুতুলখেলা, গুড়িয়া ঘর, শুতুরমুর্গ, এবং ইন্দ্রজিৎ, আধে আধুরে, ডাকঘর, কালের যাত্রা, পাগলা ঘোড়া, আকরিক, তখন বিকেল, জন্মদিন, দুই তরঙ্গ, সুন্দর, কর্ণাবতী, চিলেকোঠার সেপাই, অন্তর যাত্রা প্রভৃতি। বাংলা নাট্যমঞ্চকে তিনি আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং দেশীয় নাটকের ঐতিহ্যগত ভাবনা নিয়ে যে-উচ্চতায় স্থাপন করেছিলেন তা ইতিহাসের অন্তর্গত হয়ে আছে। রসিকতা করে অবশ্য বলতেন, ‘‘আমি তো জোগাড়ে!’’

১৯৭৯ কমলা ঝরিয়া

(১৯০৬-১৯৭৯) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশ শতকের ত্রিশ ও চল্লিশের দশকের ভারতের সংগীত জগতের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীদের অন্যতম। একেবারে শিশু-বয়সেই গানের আসরে এসে বসতেন কমলা। গানের প্রতি তাঁর এই ঝোঁক দেখে ঝরিয়ার রাজা তাঁকে কে. মল্লিকের কাছে গান শেখার সুযোগ করে দেন। কে. মল্লিক তাঁকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বেতার ও গ্রামোফোন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। কমলার জীবনের মোড় ঘুরে যায় এই ঘটনায়। তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন হিজ মাস্টার্স ভয়েসে। প্রণব রায়ের লেখা ও তুলসী লাহিড়ীর সুরে ‘প্রিয় যেন প্রেম ভুল না’ ও ‘নিঠুর নয়ন-বাণ কেন হান’ — গান দুটি নিয়ে তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয় সেপ্টেম্বর ১৯৩০-এ। কলের গানের ভুবনে তাঁর আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া ফেলে দেন তিনি।

১৯৫৭

সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ এদিন সান ফ্রান্সিসকো চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবির শিরোপা অর্জন করে। এর আগে ছবিটি ১৯৫৫-তে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার লাভ করে, যার ফলে সত্যজিৎ রায় ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র-নির্মাতাদের মধ্যে একজন বলে গণ্য হন। শুধু সমালোচকদের সন্তুষ্ট করাই নয়, বাণিজ্যিকভাবেও বেশ সাফল্য পায় চলচ্চিত্রটি। মুক্তির দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি শুধু ভারতেই আয় করে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

১৯১৫

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫) এদিন প্রয়াত হন। তাঁর পিতৃদত্ত নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়। পাঁচ বছরেরও কম বয়সে তাঁর পিতার অপুত্রক আত্মীয় জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাঁকে দত্তক নেন ও নতুন নাম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বাংলা শিল্প সংস্কৃতির জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, বাংলা মুদ্রণশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তিনি।

১৯৪২

কলকাতায় এদিন মাঝরাতে বোমাবর্ষণ করে জাপান। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। এদিনই প্রথমবার, তবে এর পরেও কলকাতা এসময় একাধিকবার জাপানি বোমার শিকার হয়। শহরে শেষবার জাপানি বোমা পড়ে ১৯৪৪-এর ২৪ ডিসেম্বর। কলকাতা বন্দর ও হাওড়া ব্রিজ ধ্বংসের লক্ষ্যে এই বোমাগুলো জাপানি ফাইটার বিমান থেকে ফেলা হয়।

১৯৭৯

সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত (১৮৮০-১৯৭৯) এদিন প্রয়াত হন। রসায়নবিদ ও প্রখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা। বেঙ্গল কেমিক্যালে কাজ করতেন। পরে সোদপুরের গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। গান্ধীজি এই আশ্রমকে তাঁর ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ তথা ‘বাংলার বাসগৃহ’ আখ্যা দিয়েছিলেন।

 

 

 

Previous articleকর ফাঁকির অভিযোগ! সাতসকালে বায়রনের বাড়িতে হা.না কেন্দ্রীয় এজেন্সির, চলছে জোর তল্লাশি
Next articleআজ বাংলার প্রাপ্য আদায়ে মোদি সাক্ষাতে মমতা-অভিষেক, সঙ্গে সা.সপেন্ডেড ১০ সাংসদ