গীতাপাঠের টিকিট বিলিতে দু.র্নীতি, বীরভূমের বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে ফের বি.স্ফোরক অনুপম

লক্ষ নয় মাত্র ৩ হাজার ৭৫০ জন তাতে অংশ নেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে

গত কয়েক মাস ধরেই বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরকে নিশানা করেছেন অনুপম হাজরা। দলের কেন্দ্রীয় নেতার বারংবার চাঁচাছোলা বক্তব্যে অস্বস্তি পড়তে হয়েছে সুকান্ত মজুমদারদের। যা নিয়ে একে অপরকে চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন উভয়েই।ফের বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার সোশাল মিডিয়ায় পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক।এবার তার প্রশ্নের মুখে দলেরই জেলা সভাপতি! নিজের পোস্টে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতার উদ্দেশে অনুপমের প্রশ্ন, ‘আর কতদিন যে চোর মুক্ত বিজেপি চাই বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে !!!????’রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর সুপার ফ্লপ হয়েছে।লক্ষ নয় মাত্র ৩ হাজার ৭৫০ জন তাতে অংশ নেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। তারমধ্যেই এই আয়োজনে ভিআইপি কার্ড বিলি ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এক্ষেত্রে তিনি জনৈক অনিল সিং নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টও শেয়ার করেছেন।

সেখানে অনিল সিং দাবি করেছেন,বীরভূম জেলার বিজেপির জেলা সভাপতির নির্দেশে নলহাটি এলাকা থেকে কিছু কিছু লোককে গীতাপাঠের কার্ড বিলি করতে দেওয়া হয়েছে। তারা একটি কার্ডে এক হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।’অনিলের এই অভিযোগই শেয়ার করেছেন অনুপম হাজরা। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার !!! শেষ পর্যন্ত “লক্ষ্য কণ্ঠে গীতা পাঠ” – এখান থেকেও দুর্নীতি, টাকা উপার্জন !!! ??? হায়রে – এরা আদৌ হিন্দু !!!??? অবশ্য সংগঠনের কাছের লোক হলে শত চুরি এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন পরিবর্তন হবে না, উল্টে মেয়াদকাল আরো বাড়তে পারে !!! আর কতদিন যে “চোর মুক্ত বিজেপি চাই” বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে !!!????’

অনুপমের দাবি, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী তাঁর যেসব স্নেহধন্যদের বীরভূম জেলার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ বিজেপিতে স্বজনপোষন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ‘চোর মুক্ত বিজেপি’ ধ্বনি তুলেছেন অনুপম হাজরা। দাবি করেছেন, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন। জেলায় জেলায় গিয়ে পদে নেই, বসে গিয়েছে, এমন কর্মীদের চাঙ্গা করতে। সেই কাজ আমি করে যাচ্ছি।’ এই আবহে ফের বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে নিশানা করে ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও।

Previous articleতদন্ত হোক! রাজ্য সরকারের চিঠিই হাতিয়ার, বুদ্ধদেবের সভাপতিত্বে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন
Next articleকবে মাঠে ফিরবেন মাহি? এল বড় আপডেট