আলিপুরদুয়ারে ‘ফ্লপ শো’ বিজেপির! শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ক্ষু.ব্ধ দলেরই একাংশ

চা বাগানের শ্রমিকরা (Aliporeduar) যে কোনওভাবেই বিজেপির (BJP) মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং ফাঁকা আওয়াজে আর ভুলছে না, আলিপুরদুয়ারে সেই ছবিই সামনে এল। বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা মন্ত্রী জন বার্লা (John Barla) ও জেলার বিধায়করা মিলে শত চেষ্টা করেও মিছিলে চা শ্রমিক তো দুরস্ত, নিজেদের দলের কর্মীদেরও ঠিকমতো সামিল করতে পারলেন না। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে জনজীবন বিপর্যস্ত করে একাধিক মনগড়া দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামেন সুকান্ত, জন বার্লারা। কিন্তু দিনের শেষে চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়েই বিজেপির যে আন্দোলন সেখানে চা শ্রমিকদেরই দেখতে পাওয়া যায়নি বলে খবর।

বেশ কয়েকদিন ধরে চা বাগানে গুলোতে প্রচার চালিয়ে আশানুরূপ ফল না মেলায় চরম হতাশ পদ্ম শিবির। এদিকে জেলার চা বলয় সহ অন্যান্য অংশের মানুষ বিগত সাড়ে চার বছরে স্থানীয় সাংসদ জন বার্লার মুখ দেখেননি বলে অভিযোগ। আর সেকারণেই এদিনের মিছিলে সামিল হননি বড় অংশের মানুষ। বিজেপির এক শ্রেণীর নেতা কর্মীদের মতে এদিনের মিছিল চোখে আঙুল দিয়ে বিজেপির দুরাবস্থার আসল ছবি সামনে এনেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্লক স্তরের বিজেপি নেতার কথায়, আমরাই সাড়ে চার বছর পর সাংসদকে এখন মাঝে মাঝে দেখতে পাচ্ছি, সেখানে সাধারণ মানুষ কি করে তাকে কাছে পাবেন একবার ভাবুন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন আসছে, তাই উনিও নিয়ম করে দেখা দিচ্ছেন। এসব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট আদায় করার ধান্দা।

এদিকে বিজেপির ফ্লপ মিছিল প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নের কাজ করছেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিকদের জীবন সরকারি কল্যানকর প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরছেন সমাজের স্বাভাবিক ধারায়। তবে চা শ্রমিকরা বিলক্ষন বুঝেছেন, আর যাই হোক বিজেপির মিথ্যে ফাঁদে পা দিলেই বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।

 

 

 

 

Previous articleসৌজন্য-সাক্ষাৎ: নতুন বছরের শুরুতেই শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে হাজির কুণাল
Next articleভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা: বাংলায় মেপে পা রাখছেন রাহুল