কেন্দ্র দেয়নি, স্বাস্থ্য খাতে বাংলার কোষাগার থেকে ১৩০০ কোটি দিয়েছেন মমতা!

মাটির মানুষরাই বলছেন, রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) আপ্রাণ চেষ্টা করছে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে এই স.মস্যাগুলির সু.রাহা করতে।

বাংলা সঙ্গে বৈষম্য মূলক আচরণ এতটুকু কমেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের(BJP Government)। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলে খেলা করতেও পিছপা নয় তারা। কিন্তু মানবিক মুখ্যমন্ত্রী (CM) সর্বদাই মা মাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যখাতে নজর দেওয়া সবার আগে দরকার সেখানে কেন্দ্র (Central Government) স্বাস্থ্য মিশনের টাকা বরাদ্দ করেনি। উল্টে বাংলার কোষাগার থেকে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে মমতার সরকার। যারা এসি ঘরে বসে টিভিতে ক্যামেরার সামনে রাজনীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলেন, গ্রামে গঞ্জে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীদের কষ্ট তাঁদের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। সেই মাটির মানুষরাই বলছেন, রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) আপ্রাণ চেষ্টা করছে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে এই সমস্যাগুলির সুরাহা করতে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মিশন খাতে ১৩০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

 

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কোটি কোটি টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের এই ‘কৌশল’কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল চালানোর অভিজ্ঞতা যাঁদের আছে, তাঁরাই হাড়ে হাড়ে বোঝেন কী ভাবে চ্যালেঞ্জ সামনে পরিষেবা দিতে হয়। কোথাও কমোড ভেঙে নোংরা জলে ভাসছে বাথরুম, আবার কোথাও আলো না থাকায় সমস্যা বাড়ছে।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তা বলছেন, শুনে মনে হবে সামান্য কাজ কিন্তু এগুলো ঠিক করতে ঠিক কতটা আর্থিক ধাক্কা সামলাতে হয় এটা বাইরের কেউ বুঝবেন না। এটা পাচ্ছি না আর ওটা হচ্ছে না বলে যারা তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে দিচ্ছেন তাঁদের জেনে রাখা দরকার যে, চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন খাতে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৬০:৪০ অনুপাতে টাকা মেটানোর কথা থাকলেও কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ২৮০ কোটি টাকা। বাকি ১৩০০ কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি মিটিয়েছে রাজ্য। প্রতিহিংসার রাজনীতি করা বিজেপি সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনভাগের একভাগ টাকাও দেয়নি। আর রাজ্য তাদের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে।

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ফ্রি মেডিসিন, অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় নিকু ও পিকু তৈরি, স্বাস্থ্য শিক্ষার উন্নতিতে একের পর মেডিক্যাল কলেজ তৈরি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সহ অসংখ্য উদ্যোগকে সফল করতে নিজেদের কোষাগার থেকে দিয়ে ১১ কোটি মানুষের বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখছেন মমতা। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীর সফল ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার পরিকল্পনা করেই স্বাস্থ্য মিশরের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র বলে অভিযোগ। তবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রমাণ মিলেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যের কোষাগার থেকেই টাকা দিয়ে বাংলার মানুষকে সুস্থ রাখার চেষ্টায় গত ১৩ বছর ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleজগিংয়ের ড্রেসেই মন্ডপে হাজির ইরার বর! প্রাক্তনদের সঙ্গে সাবেকি সাজে আমির
Next articleলম্বা ইনিংস খেলার আগেই খারাপ পারফরমেন্স শীতের!