ভোটের দিন হরতাল! কীভাবে ভোটারদের বুথে আনবেন হাসিনা?

ভোটের আগের দিন সকাল ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বাংলাদেশে সক্রিয় খালেদা জিয়ার বিএনপি (BNP)। এবার নির্বাচনের দিন হরতালের ডাক দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া ভেস্তে দেওয়ার সব পরিকল্পনা পাকা বিএনপি সহ মৌলবাদী ও বামপন্থী সংগঠনগুলির। তার উত্তরে রবিবার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই লক্ষ্য শেখ হাসিনার। হরতালকে উপেক্ষা করে ভোটারদের ভোটমুখী করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ আওয়ামিলিগের (Awami League)।

ভোট বয়কট করেছে প্রধান বিরোধী বিএনপি, কিছু বামপন্থী দল ও মৌলবাদী সংগঠনগুলি। ২৮ অক্টোবর তাঁদের মহাসমাবেশের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তার পরদিন থেকেই লাগাতার হরতাল (strike) ডাকছে তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে ভোট বয়কটের জন্য ডাক দিয়েছে তাঁরা। কিন্তু এত কিছুর পরও নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে সন্দিহান বিএনপি। শেষ পর্যন্ত ভোটের আগের দিন সকাল ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একটি ভার্চুয়াল বক্তৃতায় (virtual speech) জানিয়েছেন একথা। তবে শুধু ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিয়েই থেমে থাকছে না বিএনপি। শুক্রবার মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে হয়েছে আওয়ামি লিগকে। একতরফা ভোট ভাগ বাটোয়ারা করারও অভিযোগ উঠেছে। তারপরেও ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীদের কাউন্টার করেই থেমে নেই। বিরোধীদের পরিকল্পনা যেন আগে থেকেই আঁচ করে নিয়েছিল হাসিনার দল। তাই আগে থেকেই ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ নামে ক্যাম্পেন (campaign) চালু করে তাঁরা। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে আবেদন করা হয় বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। এখন পরীক্ষা এটাই কতটা সাফল্য দেবে আওয়ামি লিগের ক্যাম্পেন। হরতালের পথে যাবে নির্বাচনের বাংলাদেশ, না কী আস্থা রাখবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়?

Previous articleগাইঘাটায় খাদ্য সরবরাহ অফিসে তল্লাশিতে এনআইএ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next article“দিদির সুস্থতা কামনা করি”: জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর