মোর্চার মানরক্ষা করেছিলেন! সেই নওশাদই ডাক পেলেন না রবিবাসরীয় ব্রিগেডে

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) সময় পায়ের তলার জমি হারিয়ে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেস (Congress) ও আইএসএফকে (ISF) বুকে টেনে নিয়েছিল লাল ঝান্ডাধারীরা। তবে সেই সুসম্পর্কে চিড় ধরিয়েছে নির্বাচনের পরপরই। সেই মাখামাখি বিষয়টা আর তেমন চোখে পড়ে না। রবিবার সেই ছবি আবারও স্পষ্ট হল ব্রিগেডের (Brigade) সম্মেলনে। সংযুক্ত মোর্চার একটি মাত্র সলতে থুরি বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিই (Naushad Siddiqui) ডাক পেলেন না অনুষ্ঠানে। হ্যাঁ, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। যেখানে দরকার পড়েছে সেখানেই লাল শিবির ডেকে পাঠানো মাত্রই পৌঁছে গিয়েছেন নওশাদ। তবে সেই জোট এখন অতীত। আর সেকারণেই গুরুত্ব কমেছে আইএসএফ বিধায়কের। তবে যতই হোক নওশাদই একমাত্র পেরেছিলেন জোটের সম্মানটুকু বাঁচাতে। কিন্তু সেই নওশাদকেই নাকি আমন্ত্রণই জানাননি বামদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)। আর তা নিয়েই এবার রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে।

তবে তাঁকে যে কোনওরকমভাবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নওশাদ নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, যতটুকু জেনেছেন, মিডিয়া সূত্রেই। তবে মুখে না বললেও নওশাদ যে কিছুটা হলেও মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। তবে এদিন ব্রিগেড কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে ভাঙড়ের বিধায়ক  জানিয়েছেন,  “ফিজিক্যালি না থাকলেও মেন্টালি আছি। ওরা বাংলায় মানুষকে একটা নতুন দিশা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, এটা তো সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড নয়, এটা ডিওয়াইএফআই-এর কর্মসূচি। তাই আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপার নেই।

তবে এদিন নওশাদ আবেভাবে বুঝিয়ে দেন, একদা জোটসঙ্গীদের প্রতি তাঁর রাগ বা অভিমান কিছুই নেই। মানসিকভাবে তিনি বামেদের লড়াইয়ের পাশেই আছেন। তবে মুখে তিনি যাই বলুন কাজে তা কতখানি করে দেখাতে পারেন সেটাই দেখার।

 

 

 

 

Previous articleপাঁচবছরের খুদেকে সজ্ঞানে রেখেই চলল মাথায় অস্ত্রোপচার!
Next articleBangladesh Election: বাংলাদেশে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল নির্বাচন কমিশন