‘ভুল’ করে কোভিড রিলিফ ফান্ডে ২৫০ কোটি! জানালো ম্যানকাইন্ড ফার্মা

হিসাবের ভুলে যা দান করতে চেয়েছিলেন তার থেকে ১০গুণ বেশি দান করে ফেলেছেন।

একটি শূন্যের হিসাবে ভুল। আর তাতেই কোভিড ত্রাণ তহবিলে (COVID relief fund) ২৫০ কোটি দান করে ফেলল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ম্যানকাইন্ড। তবে এত বড় ‘দানে’ এতটুকুও বিচলিত না প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা। এই বিশাল পরিমাণ তহবিল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে যে বিপুল পরিমাণ ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছেন তা তাঁরা আশা করেননি বলেই জানালেন সংস্থার কর্ণধার রাজীব জুনেজা।

কোভিড পরিস্থিতিতে প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য কেন্দ্র সরকার পিএম কেয়ার ফান্ড (PM Care Fund) নামে তহবিল খোলে যেখানে দেশের সেলিব্রিটি থেকে শিল্পপতি কোটি কোটি টাকা দান করে। একসময় দেশের বিত্তশালীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় এই ফান্ডে টাকা দেওয়ার জন্য। যদিও পরে এই তহবিলে টাকার হিসাব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সেই সময় এই তহবিলে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিল ম্যানকাইন্ড ফার্মা। পাশাপাশি অন্যান্য কোভিড সংক্রান্ত তহবিল ও অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার জন্য় এই সংস্থা ২৫০ কোটি টাকা দান করে বলে সম্প্রতি জানালেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর (MD) রাজীব জুনেজা। তবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁদের হিসাবে ছিল না বলেই জানাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জুনেজা জানিয়েছেন, ফার্মাসিউটিকাল সংস্থা হিসাবে অসংখ্য ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে বিচলিত হয়ে পড়েন তাঁরা। শুধু মুখে না, কাজের মধ্যে দিয়ে সেইসব প্রথমসারির যোদ্ধাদের (front line worker) পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। শুরু হয় প্রথমসারির যোদ্ধাদের সংখ্যা পরিমাপ করা। সেই সময় গুণতে গিয়ে একটি শূন্য কোথাও বেশি পড়ে যায়। ৫৮ বছরের ভারতীয় সফল উদ্যোগপতির দাবি, আলোচনরা মাধ্যমে ২১ কোটি টাকা দান করার কথা ওঠে। তারপর ছেলে চানক্যর পরামর্শে অক্ষয় কুমারের দানের অঙ্কের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেন তারা। সেই সময় পিএম কেয়ার তহবিলে ৫০ কোটি দান করে অক্ষয়ই সব বাহবা কুড়াচ্ছিলেন।

অক্ষয়কে টপকানোর ইচ্ছা থাকলেও কখনই ২৫০ কোটি দানের পরিকল্পনা তাঁদের ছিল না, স্পষ্ট স্বীকার করছেন এমডি জুনেজা। হিসাবের ভুলে যা দান করতে চেয়েছিলেন তার থেকে ১০গুণ বেশি দান করে ফেলেছেন। কিন্তু এই ‘ভুল করে বিরাট কিছু একটা হয়ে গিয়েছে’ সানন্দে জানাচ্ছেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই তিনি আমেরিকার বিল গেটসের (Bill Gates) কথা বলেন। তাঁর কথায়, বিল গেটস-কে মানুষ Windows-এর উদ্ভাবক হিসাবে যতটা মনে রাখে, তার থেকে বেশি বিল গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে মনে রাখে। মহানুভবতা একজন উদ্যোগপতিকে একজন মহামানব (superhuman) তৈরি করতে পারে।

Previous articleনিয়োগ মামলায় বেধে দেওয়া সময়সীমার শেষলগ্নে ফের চার্জশিট দিল সিবিআই
Next articleপ্রাথমিক টেট মামলায় সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত তথ্য পর্ষদকে দেওয়া যাবে না, নির্দেশ হাই কোর্টের