র‍্যা.গিংয়ে জিরো টলারেন্স! অভিযোগ সামনে আসতেই ক.ড়া পদক্ষেপ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের

সোমবারই র‍্যাগিং রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮। পড়ুয়ারা কোনোরকম সমস্যায় পড়লেই এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

যাদবপুরের (Jadavpur) ছায়া এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Calcutta Medical College and Hospital)। ফের শিক্ষাক্ষেত্রে র‍্যাগিংয়ের (Ragging) অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (Post Graduate) ট্রেনিকে (Trainee) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কলকাতার এই শতাব্দী প্রাচীন মেডিক্যাল কলেজ। সূত্রের খবর, এবার একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দুই পড়ুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিগৃহীত দুই জুনিয়র। ইতিমধ্যে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই পড়ুয়া-চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ, মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি তাঁদের বেধড়ক মারধর, থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই দুই সিনিয়র। তবে শিক্ষাঙ্গণে যে কোনওভাবেই র‍্যাগিং বরদাস্ত নয় তা প্রথম থেকেই কড়া ভাষায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি সোমবারই র‍্যাগিং রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮। পড়ুয়ারা কোনোরকম সমস্যায় পড়লেই এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবুও এখনও কিছুকিছু জায়গায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে আসছে।

ঠিক কী অভিযোগ?

সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ইউনিট-১-এর প্রথম বর্ষের দুই পিজিটি, বিট্টু ধর এবং জনসন প্রবীণ আম্বেদকরের উপরে ওই বিভাগেরই দ্বিতীয় বর্ষের দুই পড়ুয়া-চিকিৎসক প্রায় তিন মাস ধরে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ চালাচ্ছে। অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই কখনও রোগী বা তাঁদের পরিজনদের সামনেই অশ্লীল ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। কখনও তীব্র গালিগালাজ করে বেধড়ক মারধরও করা হচ্ছে। পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারে নার্সদের সামনেই ওই দু’জনের মধ্যে এক পড়ুয়া-চিকিৎসকের দিকে যন্ত্রপাতি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি, মুখে থুতু ছেটানোর অভিযোগও উঠেছে। আর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের জেরে ওই দুই পিজিটি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলছে বলে অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব কলকাতা মেডিক্যালের ‘রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ‘‘এতদিন ধরে ঘটনা ঘটলেও আমাকে কেউ জানাননি। লিখিত অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। কোনওভাবেই র‌্যাগিং বরদাস্ত করা হবে না।’’

 

 

 

 

Previous articleঅশান্ত মণিপুর, পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া হল না রাহুলকে
Next articleএয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রো চালু এবছরই, ক্যান্টনমেন্ট ‘মিটিং পয়েন্ট’