কেন্দ্রের উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস নিতে নাকি গ্রাহকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বাংলায়। এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই মর্মে নবান্নেও একটি চিঠি দিয়েছেন। শুভেন্দুর সেই চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন না বাংলার সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারি সুবিধা থেকে কেন বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? চিঠিতে হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু লিখেছেন যে, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না করলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। যদিও শুভেন্দুকে পাল্টা দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল শুভেন্দুকে পরামর্শ দিয়েছে, তাঁর যা বলার তিনি বরংপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই বলুন।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কারণ ব্যাখ্যা করে শুভেন্দুকে বলেন, ‘‘শুভেন্দু যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা বলছেন, তাতে মানুষ একবার গ্যাস পাওয়ার পর দ্বিতীয় বার আর পাচ্ছে না। মানুষকে যা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে, তার জন্য দায়ী কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এখানে বাংলার সরকারের ভূমিকা কী? শুভেন্দুর উচিত প্রধানমন্ত্রীকে এটা বলা, যে আপনার প্রকল্পে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।’’
Before shamelessly plugging the Modi Govt.’s FAILED Ujjwala Yojana, LoP @SuvenduWB should remember:
👉The average number of refills per year declined from 4.4 in 2021 to 3.7 in 2023
👉11.8 million PMUY beneficiaries did not get even a single LPG bottle during the last financial… https://t.co/38aRwndMGF— Aroop Biswas (@aroopbiswasaitc) January 16, 2024
রাজ্য সরকারের তরফেও তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোক্ষম জবাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দুর দাবি খারিজ করে লিখেছেন, ‘‘শুভেন্দু যে প্রকল্পের কথা বলছেন, সেটি মোদি সরকারের অন্যতম ব্যর্থ প্রকল্প। এই প্রকল্পে বণ্টন করা গ্যাস সিলিন্ডার পুনরায় ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে গাফিলতি দেখা গিয়েছে গত দু’বছরে। উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে থাকা ১১ লক্ষ ৮০ হাজার বাংলার মানুষ সিলিন্ডার তো দূরের কথা, একটি এলপিজির বোতলও পাননি গত আর্থিক বছরে। ৯ লক্ষ ২০ হাজার উজ্জ্বলা ‘সুবিধাপ্রাপ্ত’ গ্যাস ছেড়ে আবার উনুনের রান্নায় ফিরেছেন ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে। কমেছে সরকারি ভর্তুকির পরিমাণও। ২০১৮-১৯ সালে যেখানে ৩৭ হাজার ২০৯ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসাবে দিত কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে ২০২৩-২৪ সালে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে কেবল ৬ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ওই ব্যর্থ প্রকল্প নিয়ে দাবি করার আগে শুভেন্দু যেন এই তথ্যগুলিও ভুলে না যান।”