রাম মন্দির আসলে মেরুকরণের রাজনীতি! অকপট স্বীকারোক্তি বিজেপি সাংসদের, প্রতিবাদে সরব তৃণমূল

রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি, দীর্ঘদিন ধরে এরকম অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির রাজনীতিকরণের জন্য মুখ খুলেছেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজও। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাম মন্দির নিয়ে ‘রাজনীতি’ করাটাই শ্রেয় বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর মন্তব্য আসলে তৃনমূলের অভিযোগকেই মান্যতা দিল। রাম মন্দির নিয়ে যে বিজেপি রাজনীতি করছে, সেটা কার্যত স্বীকার করে নেন রায়গঞ্জের খোদ বিজেপি সাংসদ।

রাম মন্দির প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা-নেত্রী। এবার কার্যত সেই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে, বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এক্স হ্যান্ডেলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবশেষে থলের বাইরে বিড়াল! অকপটে স্বীকারোক্তিতে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বুঝিয়ে দিলেন, ভোট পাওয়ার জন্য তাঁর দলের রাম মন্দিরের কৌশলগত ব্যবহার। বিজেপি সাংসদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট মেরুকরণের রাজনীতির জন্যই বার বার রাম মন্দিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির।

 

রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, “রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির মুখোশ খুলে গেল তাঁদের দলের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর মন্তব্যে। তিনি স্বীকার করে নিলেন যে তাঁদের দলের রাম মন্দির সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলি নির্বাচনের দিকে নজর রেখে খুব দক্ষতার সঙ্গে তৈরি একটি বিভাজনের কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।”

 

বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, “ওঁর কথার আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না। রামায়ণের কোনও চরিত্রের সঙ্গে ওঁর যদি তুলনা করা যায়, সেটি হল সুর্পনখা। ওঁর মুখে রামের ত্যাগ এবং রাম রাজত্বের কথা মানায় না। উনি যেভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেন, তাতে এসব কথা ওঁকে মানায় না।’

রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বিজেপির আত্মকেন্দ্রীকরণ করা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন ‘আমরা ভগবান রামকে পুজো করি। তাঁকে হৃদয়ে রাখি, মন্দিরে পুজোও করি। কিন্তু, বিজেপি রামকে নির্বাচনী এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করে। ভোটের জন্য ব্যবহার করে।’ তবে বিজেপি যে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতি করছে, মানুষের সমর্থন টানতে মন্দির উদ্বোধনের ইস্যুটিকে ব্যবহার করবে, সেটাই বিজেপি সাংসদের বক্তব্যে পরিষ্কার।

Previous articleপ্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় সভা করতে চেয়ে আদালতে আইএসএফ
Next article“মোদিকে বলুন”! উজ্জ্বলার গ্যাস নিয়ে মিথ্যাচার করতেই শুভেন্দুকে কড়া জবাব তৃণমূলের