নজিরবিহীন! মহিলাদের উপর আস্থা, লোকসভা ভোটের আগেই নয়া সম্পাদক-সভাপতি পেল SFI

সামনে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। আর সেই নির্বাচনের আগেই এবার এসএফআই (SFI)-এর সাংগঠনিক পদে বড়সড় রদবদল।  তবে অবাক করা বিষয় হল এই প্রথম সংগঠনের দুই মহিলা কর্মীকে দেওয়া হল গুরুদায়িত্ব। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কলকাতার ছাত্র সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ। সেই পথে হেঁটেই এবার কলকাতা জেলা এসএফআই-এর নতুন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পেলেন দিধীতি রায় এবং সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হল বর্ণনা মুখোপাধ্যায়কে। আর আলিমুদ্দিনের (Alimuddin Street) এমন পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর আগে কখনওই একসঙ্গে এসএফআই-এর কোনও জেলা কমিটির সম্পাদক আর সভাপতির দায়িত্ব মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আচমকা ছক ভেঙে কেন এমন সিদ্ধান্ত বাম হাইকম্যান্ডের? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যে দলের হাত তলানিতে। আর সেকারণেই বয়স্কদের সরিয়ে প্রথমে নতুন মুখ এবং তারপর মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে কিছু প্রায়শ্চিত্তের আশা লাল ধ্বজাধারীদের।

এর আগে প্রায় ৩ বছর কলকাতা জেলা এসএফআই-এর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন আতিফ নিসার। সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দেবাঞ্জন দে। এবার একযোগে সংগঠনের দুই মহিলা কর্মীকে দেওয়া হল গুরু দায়িত্ব। তবে কী নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকতে চাইছেন মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা? যদিও সেই সম্ভাবনা কতটা সত্য হয় সেদিকে নজর থাকবে। তবে মহিলাদের দলীয় সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুতর দুর্বলতা রয়েছে বলেও মেনে নিয়েছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।

দলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে শুধুমাত্র শাখাগুলির উপর দায় চাপিয়ে দিলেই হবে না। দায় নিতে হবে এরিয়া, জেলা কমিটিকেও। এদিকে এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সৃজন ভট্টাচার্য ও রাজ্য সভাপতি পদ থেকে প্রতীকউর রহমান আগেই সরেছেন। তাঁদের জায়গায় নতুন কারা দায়িত্ব পাবেন এই আবহে সেই জল্পনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।

 

 

 

 

Previous articleফের হলিউড সফর, বিদেশ থেকে ডাক পেলেন বলিউড অভিনেত্রী!
Next articleচাপের মুখে অর্ধদিবস ছুটি প্রত্যাহার দিল্লি AIIMS-এর