নিম্ন আদালতের রায়কে মান্যতা! জ্ঞানবাপীতে পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ এলাহবাদ হাই কোর্টের

জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে একের পর এক সাসপেন্স। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক আপডেট। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বুধবারই বারাণসী জেলা আদালত (Varanasi District Court) সাফ জানিয়ে দেয় জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা বেসমেন্টে পুজো-অর্চনা চলবেই। আর সেই নির্দেশের পরেই সেই অংশের ব্যারিকেড সরিয়ে মধ্যরাতে পুজো সারতে দেখা যায় হিন্দু পক্ষকে। আর তা নিয়েই চরম আপত্তি জানিয়েছে মুসলিম পক্ষ। তবে শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়েই সিলমোহর দিল এলাহবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। এদিন মুসলিম পক্ষকে বড় ধাক্কা দিয়ে উচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, এই মামলার শুনানি চলাকালীন মন্দির চত্বরে চলবে পুজো।

গত বুধবার বারণাসীর জেলা আদালত হিন্দু পক্ষকে জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজোর অনুমতি দিয়েছে। এরপরই জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে ৩১ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুজো ফের শুরু হয়। বুধবার মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় হয় পুজো-আর্চনা, মঙ্গলারতি। এরপরই জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বাসের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টে বড় ধাক্কা মুসলিম পক্ষের। এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল অ্যাডভোকেট জেনারেলকে মসজিদ চত্বরের বাইরে ও ভিতরে সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এদিন আদালত প্রশ্ন তোলে, কালেক্টরকে রিসিভার নিযুক্ত করার সময় কেন মুসলিম পক্ষ প্রতিবাদ করেনি? একইসঙ্গে মসজিদ কমিটিকে আপিল সংশোধন করে জেলা জজের ১৭ জানুয়ারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

তবে শুধু আইনি পদক্ষেপই নয়, শুক্রবার থেকেই জ্ঞানবাপীর ব্যাস তেহখানায় আরতি ও পূজাপাঠের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু করে মুসলিমপক্ষ। ইতিমধ্যে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি-র তরফে এলাকার সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসাক্ষেত্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। অশান্তির সম্ভাবনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। মসজিদ কমিটির সম্পাদক মৌলানা আবদুল বতিন নোয়ামি শুক্রবার বলেন, ‘‘মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেই প্রতিবাদ জানাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’ তবে এদিন সকালে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেও লাভের লাভ কিছুই হল না। বেলা গড়াতেই হাই কোর্টের রায়ে বেশ বেকায়দায় মুসলিম পক্ষ।

 

 

 

Previous articleমেসির ইন্টার মায়ামিকে ৬-০ গোলে হারাল রোনাল্ডোর আল নাসের
Next articleএই প্রথম ২২ হাজারের গণ্ডি পার নিফটির, উর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজারও