অভিষেকের নির্দেশে চোপড়ার মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য! বৃহস্পতিবার রাজভবনে তৃণমূল

বৃহস্পতিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা-সহ তৃণমূলের একটি ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন।

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় (Chopra) নিহত শিশুদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল তৃণমূল (TMC)। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো তিন লক্ষ টাকা করে সাহায্য তুলে দেওয়া হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্বের তরফে। সূত্রের খবর, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ পেয়েই মন্ত্রী গোলাম রব্বানি একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে নিহত শিশুদের বাড়িতে যান। এরপরই শিশুদের পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হয়। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে শিশুমৃত্যুর ঘটনার জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছে চোপড়া। ঘটনায় বিএসএফ-এর দিকে আঙুল তুলে সোমবারই সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠায় তৃণমূল। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তৃণমূলকে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা-সহ তৃণমূলের একটি ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। রাজ্যপাল সন্দেশখালির পাশাপাশি এই ঘটনাতেও যাতে সহমর্মিতা দেখায়, সে ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে পাঠানো দু’পাতার চিঠিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। দলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, “বিএসএফ-এর ড্রেন সম্প্রসারণের কাজের সময়েই চার নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি ছাড়াই বিএসএফ-এর নির্দেশে সেখানে বেআইনিভাবে মাটি খুঁড়ে ড্রেন গভীর করা হচ্ছিল।” মঙ্গলবার দুপুরেই তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজাও এই চোপড়ার ইস্যুতে সরব হয়েছেন।

পাশাপাশি এমন অবস্থায় রাজ্যপাল বোস যাতে একবার চোপড়ায় গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনার বাস্তব চিত্র সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন, সেই অনুরোধও জানিয়েছে তৃণমূল। শেষ পাওয়া খবরে, চোপড়ায় চারজন শিশুর মৃত্যু ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেসিবি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জেসিবিও। এদিকে সোমবারই সন্দেশখালির পরিস্থিতি পরিদর্শন করেই রাজ্যপাল উড়ে গিয়েছেন দিল্লিতে। বুধবারই তিনি কলকাতায় ফিরবেন। সেকারণেই বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে তৃণমূলকে সময় দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ১৫ তারিখ রাজভবন সূত্রে তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

Previous articleএকের পর এক কমিটি থেকে ইস্তফা, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মিমিকে ডাকলেন মমতা
Next article‘শূন্য’ ভূতের ভয়! আসন সমঝোতা নিয়ে বহরমপুরে বৈঠক বাম-কংগ্রেসের