চিন্তা বাড়াচ্ছে রাফা! সাময়িক যুদ্ধবিরতির দাবিতে রাষ্ট্র সংঘে প্রস্তাব পেশ আমেরিকার

সময় যত গড়াচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে গাজার (Gaza) পরিস্থিতি। একাধিক পদক্ষেপেও এতটুকু বদলায়নি পরিস্থিতি। উল্টে বিপদ আরও বাড়ছে। এরইমধ্যে দক্ষিণ গাজার রাফায় (Rafa) থাকা শরণার্থীদের অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে খবর। আর সেকারণেই অনেক আগে থেকেই যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) দাবি জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইয়নিয়নের (European Union) প্রায় সবকটি দেশই। তবুও সেই দাবিকে একেবারে ডোন্ট কেয়ার করে নিজেদের ইমেজ রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত ইজরায়েল (Israel) ও হামাস (Hamas)। কিন্তু পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখেই সাময়িক যুদ্ধবিরতি চেয়ে খসড়া প্রস্তাব পেশ করল আমেরিকার জো বাইডেন সরকার। মঙ্গলবারই যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে আমেরিকা। পাশাপাশি রাফায় হামলা চালানো প্রসঙ্গে ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের চরম সমালোচনা করেছে বাইডেনের দেশ।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা যে প্রস্তাবটি পেশ করেছে তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, রাফা সীমান্তে থাকা মানুষদের মানবাধিকার যাতে কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে ইজরায়েলকে। পাশাপাশি বন্দিদেরও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। বাইডেন প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এভাবে যদি ইজরায়েল মুহুর্মুহু তাদের শক্তি দেখিয়ে থাকে তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এদিকে শুধু আমেরিকাই নয়, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছিল আলজেরিয়াও। তবে সেই প্রস্তাবে বন্দি মুক্তির বিষয় স্পষ্ট করে উল্লেখ করা ছিলনা বলে তা বাতিল করে দিয়েছে আমেরিকা। তবে এমন আবহে রাষ্ট্র সংঘের আশঙ্কা, এই ভাবে যদি ইজরায়েল হামলা চালাতে থাকে, তা হলে তা ধীরে ধীরে ‘গণহত্যার’ রূপ নেবে।

জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার মিশর সীমান্তের রাফা শহরে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলের দাবি, রাফায় ঘাঁটি রয়েছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর। এ দিকে, গাজ়া ভূখণ্ডের একদম দক্ষিণ প্রান্তে রাফাতেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৪ লক্ষ প্যালেস্টাইনি। নানা মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, ইজ়রায়েলের হামলার জেরে মৃত্যু হচ্ছে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের। খাবার, পানীয় জল, ওষুধ-সহ নানা জরুরি সামগ্রী সময়ে না পাওয়ার কারণে তাঁবুর ভিতরেই কার্যত অনাহারে মৃত্যুর মুখ দেখতে হতে পারে বহু প্যালেস্টাইনিকে, এমন আশঙ্কাও করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলি।

তবে এদিন রাষ্ট্র সংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, গাজায় শান্তি ফেরাতে গত সপ্তাহেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশাপাশি মিশর ও কাতারের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

 

 

 

Previous articleশুভেন্দুর ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য, ডিজিটাল প্রতিবাদে সরব তৃণমূল
Next articleসুরাটের নামী মডেলের মৃত্যুতে আইপিএলের তারকা ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠাল পুলিশ