শুভেন্দুর ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য, ডিজিটাল প্রতিবাদে সরব তৃণমূল

একজন কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিককে ‘খালিস্তানি’ বলে অপমান করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার প্রতিবাদে তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন আইপিএস যশপ্রীত সিং। এরপর এই ঘটনায় ডিজিটাল প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। যার উদ্দেশ্য, বিজেপির ঘৃণ্য মানসিকতা সকলের সামনে তুলে ধরা এবং বোঝানো যে পাগড়ি পরিহিত শিখ ভাইবোনেরা ভারতীয় কিন্তু খলিস্তানি নন।

এদিন তৃণমূলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করা হয় যেখানে লেখা, “I wear Turban, I am not a Khalistani!” যার অর্থ, “আমি পাগড়ি পরি, কিন্তু আমি খালিস্তানি নই।” একইসঙ্গে লেখা হয়েছে, “এই শব্দগুলি বিজেপি নেতাদের জোরে এবং স্পষ্টভাবে শোনা প্রয়োজন। একইসঙ্গে পরেরবার যখন আপনারা এই নোংরা মুখে গালি দিতে আসবেন তখন এই শব্দগুলি মনে রাখবেন।”

মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর সফর চলাকালীন কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিককে পাগড়ি পরার কারণে ‘খালিস্তানি’ বলে অপমান করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ওই আইপিএস আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। আমি পাগড়ি পরা বলেই আপনি এই কথা বলছেন। আমি যদি পাগড়ি না পরতাম, আপনি কি আমাকে খালিস্তানি বলতেন? আপনি আমার ধর্ম নিয়ে এটা বলতে পারেন না।” এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ। কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ জানান কলকাতার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। এই ইস্যুতেই এবার ডিজিটাল প্রতিবাদে নামল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের একাধিক ছবি তুলে ধরে তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “আমরা শিখ হিসেবে গর্বিত”, “শিখরা ভারতীয় খালিস্তানি নয়”, “আমাদের পাগড়ি আমাদের গর্ব”, “ধর্মের নামে বিজেপির এই ঘৃণার রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ হোক” এবং “আমাদের দাবি গ্রেফতার করা হোক শুভেন্দুকে”। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির দলীয় অফিসের সামনে এমনই স্লোগান তুলেছেন রাজ্যের শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

 

পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, “শুভেন্দুর ‘খালিস্তানি’ মন্তব্যে দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ মর্মাহত। এদিন বিজেপির দলিয় অফিসের সামনে প্রতিবাদে সরব হন তারা। তাদের প্রতিবাদ শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের আবেদন নয়, বরং তাদের পরিচয় এবং মর্যাদার প্রতিক হয়ে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপনি এখনও চুপ কেন?”

 

Previous articleমেদিনীপুর- মুর্শিদাবাদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বিশ্বকোষ পরিষদের
Next articleচিন্তা বাড়াচ্ছে রাফা! সাময়িক যুদ্ধবিরতির দাবিতে রাষ্ট্র সংঘে প্রস্তাব পেশ আমেরিকার