শুভেন্দু ঘনিষ্ঠর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ খোদ বিজেপি নেত্রীর!

সন্দেশখালি (Sandeskhali) নিয়ে যখন রোজ নতুন নতুন চিত্রনাট্য রচনা করছে বিজেপি (BJP), ঠিক তখনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ এলো খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ এক নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতা দলেরই এক মহিলা সহকর্মীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক ও সহবাস করে গিয়েছেন। কিন্তু এখন মহিলা মোর্চার ওই যুবতী বিয়ের দাবি জানানোয় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ওই যুবতী নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি।

ঘটনাটি ঘটেছে শুভেন্দুর নিজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তিনি হলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা শুভেন্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দেবকমল দাস। শুভেন্দুর সঙ্গে একমঞ্চে থাকার ছবিও এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর বিজেপির যে মহিলা কার্যকর্তা দেবকমলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি হলেন তমলুক মহিলা মোর্চার সদস্য অসীমা প্রামাণিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে অসীমা জানিয়েছে, “আমি অসীমা প্রামাণিক। তমলুক সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চার সদস্য পদে আছি। আমার সঙ্গে দলের জেলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস অত্যন্ত জঘন্য ব্যবহার করেছে। আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নানা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। আর একাধিক জায়গায় নিয়ে গিয়ে সহবাস করে। আমি যে ভাড়া বাড়িতে থাকি সেখানে এসেও দেবকমল দাস আমার সঙ্গে সহবাস করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মহিষাদলে সরস্বতী পুজোর দিন একটি পুজোমণ্ডপে নিয়ে যায়। তারপর গেঁওখালি পেরিয়ে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে আসে দেবকমল। সেখানে আমি জানতে পারি সে বিবাহিত। তখন আমাকে বলা হয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয়। বিবাহবিচ্ছেদ করে আমাকে নিয়েই ঘর বাঁধবে। আমায় বড় নেত্রী করার আশ্বাসও দেয়।”

এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি ও জাতীয় মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিজেপি ধোঁয়া তুলতে চাইছে তখন নিজের ঘরেই মহিলাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অন্য কেউ অভিযোগ তুলছে না, খোদ নির্যাতিতা গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছেন। শুভেন্দু সন্দেশখালি নিয়ে লম্ফঝম্ফ করছে কিন্তু তাঁর জেলাতেই দলের অন্দরে নারী নির্যাতন নিয়ে চুপ করে আছেন কেন? জাতীয় নারী কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা এখন চুপ কেন? তৃণমূলের তরফ অবিলম্বে দেবকমল দাসকে গ্রেফতার করার দাবি তোলা হয়েছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে দাবি, দেবকমলের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও ঘটনার কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। মৌখিক ভাবেও কেউ কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

 

 

 

Previous article“দেশে হিংসার আবহ তৈরির চেষ্টা”: ‘খালিস্তানি’ মন্তব্যে বিজেপিকে আক্রমণ অমৃতসর গুরুদ্বারের সভাপতির
Next articleভ্যাপসা গরমে বাড়ছে অস্বস্তি! বুধবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের