আজ বাগানের সামনে ওড়িশা, শীর্ষস্থান লক্ষ্য সবুজ-মেরুনের

দু’টি দলেরই আক্রমণভাগ শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত ২৮টি গোল করেছে দুই দলই। তবে ওড়িশা যেখানে ১৪টি গোল খেয়েছে, সেখানে মোহনবাগান ১৮ গোল হজম করেছে।

আজ আইএসএল-এ নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। আজ শনিবার ভুবনেশ্বরে লিগের এক বনাম দুইয়ের দ্বৈরথ। শীর্ষে থাকা সার্জিও লোবেরার ওড়িশা এফসি-কে হারাতে হলে দু’টি দায়িত্ব ভালভাবে পালন করতে হবে মোহনবাগান ফুটবলারদের। প্রথমত, জনি কাউকোর থ্রু পাসগুলো অ্যাটাকিং থার্ডে ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্স, মনবীর সিং, সাহাল আব্দুল সামাদদের। দ্বিতীয়ত, ওড়িশার আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা ও দিয়েগো মরিসিওর জুটিকে কীভাবে সামলায় সবজু-মেরুন রক্ষণ, তার উপরও নির্ভর করবে ম্যাচের ভাগ্য।

দু’টি দলেরই আক্রমণভাগ শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত ২৮টি গোল করেছে দুই দলই। তবে ওড়িশা যেখানে ১৪টি গোল খেয়েছে, সেখানে মোহনবাগান ১৮ গোল হজম করেছে। তাই কৃষ্ণাদের বিরুদ্ধে মোহনবাগান রক্ষণের পরীক্ষা। বাগানের অস্ট্রেলীয় সেন্টার ব্যাক ব্রেন্ডন হ্যামিল একশো শতাংশ ফিট না থাকায় তাঁকে কলকাতায় রেখেই শুক্রবার ভুবনেশ্বর গিয়েছে দল। তবে আনোয়ার আলি শুরু থেকে খেলতে পারেন হেক্টর ইয়ুস্তে, শুভাশিস বসুদের সঙ্গে।

তবে কৃষ্ণাদের বিপজ্জনক আক্রমণভাগ নিয়ে চিন্তিত নন মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। আগের ম্যাচে দু’গোলের জবাবে আমরা চার গোল দিয়েছি। এটাই ফুটবল। ওড়িশা কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ জানি। আমরাও পিছিয়ে নেই।’’ লোবেরার দলের মাঝমাঠের সেরা অস্ত্র আহমেদ জাহু কার্ড সমস্যার কারণে খেলতে পারবেন না। তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই হাবাসের। বললেন, ‘‘প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নিয়ে আলাদা করে কথা বলতে আমি পছন্দ করি না।’’

লিগ-শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে হাবাস ও তাঁর দলের কাছে শীর্ষস্থানই প্রধান লক্ষ্য। সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচের কথায়, ‘‘ছেলেদের কখনও বলিনি যে, আমরা তৃতীয় হতে চাই। খেলোয়াড়দের সেরা হওয়ার মানসিকতা ও লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা উচিত। সেই লক্ষ্যেই আমাদের লড়াই চলছে।’’

আরও পড়ুন- ক্রিকেট মাঠে ম.র্মান্তিক ঘটনা, হৃ.দরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠেই মৃ.ত্যু কর্নাটকের ক্রিকেটারের

Previous articleফের অশান্ত মনিপুর! ইম্ফলের ধানমঞ্জুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ, মৃত্যু পড়ুয়ার
Next articleমুসলিম বিবাহ আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসম সরকারের