গাড়ি চলার রাস্তা নেই, মৃতপ্রায়কে কাঁধে নিয়েই ছুটলেন পুলিশকর্মী

উপায়ান্তর না দেখে যবুককে কাঁধে তুলে প্রায় দু কিমি রাস্তা মাঠের আল বেয়ে ছুটতে থাকেন জয়পাল। ঠিক সময়ে হাসপাতাল পৌঁছে দেওয়াতেই সে যাত্রা বেঁচে যান ওই যুবক।

যখন সব পথ বন্ধ হয় তখনও মানুষ বিশ্বাস রাখে আইন-আদালত-প্রশাসনের ওপর। আর সেই দ্বায়িত্বে থাকা মানুষ যখন নিজের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করেন তখন সবাই তাঁরই কথা মনে রাখে। যেমন তেলেঙ্গানার করিমনগরের বেতিগাল গ্রামের কৃষক পরিবার মনে রাখবে পুলিশকর্মী জয়পালকে। কাঁধে করে মাঠে মাঠে প্রায় ২ কিলোমিটার ছুটে তিনিই প্রাণ বাঁচালেন পরিবারের ছেলের!

তেলেঙ্গানার বেতিগাল গ্রামের বাসিন্দা এক কৃষক অন্যদিনের মতো মাঠের কাজে এসেছিলেন। তারপর অন্যান্য কৃষকদের চোখের আড়ালে হঠাৎই কীটনাশকের পুরো শিশি খেয়ে খালি করে দেয়। অন্যান্য কৃষকরা তাঁকে মাঠের আলে পড়ে থাকতে দেখে ও খালি কীটনাশকের শিশি দেখে থানায় খবর দেয়। সেই সময় থানায় কর্তব্যরত জয়পাল দ্রুত গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান মাঠের ধারে। যতক্ষণে তিনি আল পেরিয়ে ওই যুবকের কাছে পৌঁছেছেন ততক্ষণে তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? মাঠের আল বেয়ে গাড়ি তো নিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না।

উপায়ান্তর না দেখে যবুককে কাঁধে তুলে প্রায় দু কিমি রাস্তা মাঠের আল বেয়ে ছুটতে থাকেন জয়পাল। ঠিক সময়ে হাসপাতাল পৌঁছে দেওয়াতেই সে যাত্রা বেঁচে যান ওই যুবক। পারিবারিক বিবাদে সে যে এমন কাজ করতে পারে ভাবতে পারেনি তাঁর পরিবার। তার থেকেও তাঁরা চমকে গিয়েছেন তাঁদের বাড়ির ছেলেকে বাঁচাতে পুলিশকর্মীর কর্তব্যবোধ দেখে।

Previous articleক্লাস চলাকালীন মধ্য কলকাতার স্কুলে আ।গুন, নিরাপদে পড়ুয়ারা
Next articleডিভোর্স মামলায় ‘পদবি’ পরিবর্তন নিয়ে ঝঞ্ঝাট, স্বামীর NOC চাইলো সরকার!