আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯১২

ডাঃ বিজয়কুমার বসু

(১৯১২-১৯৮৬) এদিন ঢাকা বিক্রমপুরের কামারগাঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে জাপানি আক্রমণে পর্যুদস্ত চিনের মানুষের সাহায্য করার জন্য জওহরলাল নেহরু ও সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যোগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রচুর ওষুধ নিয়ে ডাঃ দ্বারকানাথ কোটনিসের নেতৃত্বে পাঁচজন চিকিৎসকের এক মেডিক্যাল টিম চিনে পাঠায়। সেই মেডিক্যাল মিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন ডাঃ বিজয়কুমার বসু। পরবর্তীকালে চৌ এন লাই-এর আমন্ত্রণে ফের চিনে যান। সেই সফর চলাকালীন তাঁর সাইনাসের অসুখ বেড়ে যায়। চিনের চিকিৎসকেরা তাঁকে আকুপাংচার চিকিৎসায় সুস্থ করে তোলেন। ডাঃ বসু তখন কার্যত বিনা খরচের চিকিৎসা আকুপাংচারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ত্ত করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে কলকাতায় আকুপাংচার পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করেন। ভারতের প্রথম আকুপাংচার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

১৯৫৪

আমেরিকার নয়া শক্তিশালী বিস্ফোরক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সৌজন্যে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত বিকিনি অ্যাটোল ডুবে যায়। এদিন এখানে যে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয় ১৯৪৫-এ হিরোশিমা-নাগাসাকিতে যে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল তার চেয়ে কয়েকশো গুণ বেশি শক্তিশালী। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের আগেই অ্যাটোল থেকে সব বাসিন্দাকে সরিয়ে ফেলা হয়। নজরদারি চালানো হয় সমুদ্রবক্ষেও যাতে কেউ বিস্ফোরণস্থলের বিপজ্জনক সীমার মধ্যে না আসে। তা সত্ত্বেও বিস্ফোরণের জায়গা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে এক জাপানি জেলে আকাশ থেকে ঝরে পড়া সাদা ছাইয়ে চাপা পড়ে যান, পুড়ে যায় তাঁর শরীর।

১৮৬১

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (১৮৬১-১৯৩০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। গবেষণা ও ইতিহাস চর্চার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল এবং এর জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি ঐতিহাসিক চিত্র শিরোনামে সিরাজদ্দৌলা, মির কাশিম, রানি ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতিহাস-বিষয়ক প্রথম বাংলা সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করেন। যুগপৎ তিনি বাংলার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান, শিল্পকলা ও পটশিল্প সম্পর্কে তথ্যমূলক নিবন্ধও প্রকাশ করেন। ১৯১২ সালে প্রকাশিত গৌড়লেখমালায় তিনি কয়েকটি পাল তাম্রশাসন ও শিলালিপি বাংলা অনুবাদ-সহ সম্পাদনা করেন। এতে করে বাংলা ভাষায় ঐতিহাসিক গবেষণার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়।

১৮৮৩

কুমুদরঞ্জন মল্লিক (১৮৮৩-১৯৭০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রসিদ্ধ পল্লিপ্রেমী কবি ও শিক্ষাবিদ। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাংলার গ্রামের তুলসীমঞ্চ, সন্ধ্যাপ্রদীপ, মঙ্গলশঙ্খের কথা মনে পড়ে। পেয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র সুবর্ণপদক, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং পদ্মশ্রী। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল— শতদল, বনতুলসী, উজানী, একতারা, বীথি, চুন ও কালি, বীণা, বনমল্লিকা, কাব্যনাট্য দ্বারাবত, রজনীগন্ধা, নূপুর, অজয়, তূণীর, স্বর্ণসন্ধ্যা ইত্যাদি। জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটি হল ‘গরলের নৈবেদ্য’। এটি সোমনাথ মন্দির সম্পর্কিত ১০৮টি কবিতার সংকলন।

১৯০৩

বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায় (১৯০৩-১৯৭৯) এদিন কলকাতার সন্নিকটে ব্যারাকপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত প্রখ্যাত চিকিৎসক ও ভারতের ভেষজ সংস্কারের অন্যতম উদ্যোক্তা। ভারতীয় বনৌষধি বিষয়ে গবেষণার জন্য ‘রকফেলার ফাউন্ডেশনের ফেলোশিপ’ পেয়ে চিন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, বেলজিয়াম ও জার্মানিতে ব্যাপক চর্চা করেন। কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রে পাঁচ বৎসর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ও চন্দননগরে ক্যান্সার কেমোথেরাপি ফিল্ড রিসার্চ কেন্দ্র স্থাপন করেন।

১৯২৪

অগ্নিশিশু গোপীনাথ সাহা এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গাইলেন। খবর নিয়ে জানতে পেরেছিলেন অত্যচারী চার্লস টেগার্ট থাকেন ২ নং কিড স্ট্রিটে। প্রাতঃভ্রমণের সময় দেহরক্ষী থাকত না বলে সে-সময় তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ভুলক্রমে অন্য এক নির্দোষ সাহেবকে মেরে ফেলেন। ফাঁসির পর সুভাষচন্দ্র বসু পরিকল্পনা করেন তাঁর মরদেহ নিয়ে শোকমিছিল করবেন। ব্রিটিশ শাসক তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি। হরিশ পার্কে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সুভাষচন্দ্র সেই শোকসভায় গোপীনাথের উত্তরীয় মাথায় বেঁধে হাজির হন ও আগুন-ঝরানো বক্তৃতা দেন।

Previous articleমাসের প্রথম দিনেই ধাক্কা! লোকসভা ভোটের আগে ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
Next articleশনি-রবিতে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল ২৭০টি লোকাল ট্রেন! যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা