ডার্বির টিকিটের দামে বৈষম্য, বড় সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের

আইএসএলের ফিরতি ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। আর এই ম্যাচের টিকিটের ওপর দু’রকমের দাম রাখা হয়েছে । যুবভারতীর ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির

১০ মার্চ শহরে মেগা ডার্বি। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এফসি-মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আর এই ম্যাচে নামার আগে মাঠের বাইরে লড়াই শুরু দুই প্রধানের। ডার্বির টিকিটের দাম নিয়ে অসুন্তুষ্ট মোহনবাগান কর্তারা। আর তাই এই ম্যাচের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল বাগান কর্তৃপক্ষ। ডার্বি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। রবিবারের যুবভারতীতে মাঠে যাবেন না বলে স্থির করেছেন তাঁরা। সেই মর্মে প্রেস বিজ্ঞপ্তি করেও জানিয়ে দেওয়া হয় এদিন।

আইএসএলের ফিরতি ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। আর এই ম্যাচের টিকিটের ওপর দু’রকমের দাম রাখা হয়েছে । যুবভারতীর ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিটের দামের থেকে অনেক বেশি মূল্যের টিকিট কেটে ম্যাচ দেখতে হবে মোহনবাগান সমর্থকদের। ডার্বির ইতিহাসে যা নজিরবিহীন।এই নিয়ে এদিন বাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোহনবাগান কর্তারা ক্লাবে ডার্বির টিকিট বিক্রি করবেন না, কিনবেনও না। সমর্থকদের সঙ্গে যে বঞ্চনা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলকে কলুষিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। একটা ম্যাচের টিকিটের দুরকমের দাম– বিশ্বের কোনও প্রান্তে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এবারের কলকাতা ডার্বিতেই সেই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। যার তীব্র নিন্দা করেছেন মোহনবাগান কর্তারা। সুন্দর খেলাটা কলঙ্কিত হল ইস্টবেঙ্গলের আচরণের জন্য। আমাদের ক্লাবের অসংখ্য সদস্য এবং সমর্থকদের আবেগকে নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে, তাদের আবেগকে আহত করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এহেন অখেলোয়াড়োচিত আচরণের নিন্দা করছে মোহনবাগান। ডার্বির মতো বড় ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে থাকেন দুই দলের সমর্থকরা। এই ম্যাচের অপেক্ষায় দিন গোনেন দুই দলের লক্ষ-লক্ষ ভক্ত-অনুরাগী। সেই ম্যাচের টিকিটের দাম নিয়ে এতটা তারতম্য।

গতকাল অনলাইনে ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ‘বুক মাই শো’ ওয়েবসাইট থেকে। ফিরতি ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গলের তরফে গ্যালারির টিকিটের যে দামের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে, তাতেই বিতর্কের আগুন। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিটের সর্বনিম্ন দাম যেখানে ১০০ টাকা, মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের সর্বনিম্ন দাম সেখানে ৩০০ টাকা। শুধু তাই নয়, এ ওয়ান, এ টু, বি ওয়ান, বি টু, বি থ্রি, সি ওয়ান, সি টু, সি থ্রি— দুই প্রধানের গ্যালারিতে টিকিটের দামে বিস্তর ফারাক। সেখানে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিটের দামের থেকে মোহনবাগানের টিকিটের দাম অনেকটাই বেশি।

টিকিটের দামের এই বৈষম্য নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বক্তব্য, তাদের হোম ম্যাচ। তারা টিকিটের দাম যা ইচ্ছা করতে পারে। একইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা দায় ঠেলছেন ইনভেস্টর ইমামির কোর্টে। পাল্টা মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, ‘‘ডার্বির ইতিহাসে এ জিনিস কখনও হয়নি। এটা নোংরামি।”

আরও পড়ুন- কুলদীপ-অশ্বিনের দাপট, প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৮ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড

Previous articleসন্দেশখালিতে ফের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা, পুলিশি বাধায় রণেভঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চার
Next articleইডির আপত্তি নাকচ, রেশন মামলায় হলফনামার জন্য রাজ্যকে সময় দিল আদালত