লোকসভা ভোটে বিজেপির নেতারা ১৮ আসন থেকে কতটা বাড়ানো যায় তার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় ৪২ আসন জেতার প্রত্যাশাও করে ফেলেছেন কর্মীদের কাছে। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির বর্তমান লোকসভা সাংসদের বিরুদ্ধে নতুন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের। এমনকি রাজনীতির বাইরে গিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা ব্যানার্জীকে প্রথমবার ভোট ময়দানে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মত ঘোষণা রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে করা হল।

বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় গত লোকসভা ভোটে জেতার পর থেকে আর এলাকায় তেমনভাবে আসেননি বলে ক্ষোভ জমেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল লকেটকে। সেই সঙ্গে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে লকেট নিজের নাম নিজেই ঘোষণার পরে দলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেই থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি। তারপরেও লকেটকে হুগলিতে প্রার্থী করার মতো সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
অন্যদিকে হুগলি জেলা বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। তার মধ্যে থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি আসনটি জিতে যাওয়ায় পাঁচ বছর ধরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ছিল রাজ্যের শাসকদল। এবার আর তাই এই আসন হাতছাড়া করতে চায় না তৃণমূল। একদিকে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক, অন্যদিকে রচনার বিপুল জনপ্রিয়তাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। হুগলি আসনে লকেটের নিকটবর্তী তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের সঙ্গে জয়ের ব্যবধান মাত্র ছয় হাজারের মতো ছিল। সেই পরিস্থিতিতে একদিকে সেখানে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা ও দিদি নাম্বার ওয়ান রচনার জনপ্রিয়তায় মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে তৃণমূলের পক্ষে এনে বাজিমাত করার লক্ষ্যে রাজ্যের শাসকদল।
