‘ক্লেটনের পেনাল্টিতে গোল হলে ম্যাচের ফলাফল অন্য হতে পারত’, ডার্বি হেরে বললেন কুয়াদ্রাত

প্রথমার্ধে ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি মিস করেন লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। আর সেটাই নাকি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

গতকাল আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে ১-৩ গোলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে হারে ইস্টবেঙ্গল এফসি। প্রথমার্ধে লাল-হলুদ নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও , দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখায় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ালেও, ম্যাচের ফল যা হওয়ার তা প্রথম ৪৫ মিনিটেই হয়ে যায়। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। শেষে দ্বিতীয়ার্ধে ১ গোল দেয় লাল-হলুদ। শেষমেশ ম্যাচ শেষ হয় ৩-১ গোলে।

প্রথমার্ধে ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি মিস করেন লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। আর সেটাই নাকি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সেই গোল হলে ম্যাচের ফলাফল অন্য হতে পারত বলে জানালেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “ হয়তো সেই সময় গোল পেলে ছন্দ চলে আসত। ক্লেটন এমনিতে পেনাল্টি ভালই মারে। কিন্তু ওর পারফরম্যান্সে আমি খুশি। ও আমাদের অধিনায়ক। যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। ফুটবলে এক-আধ দিন পেনাল্টি থেকে গোল না-ই হতে পারে। অনেকে তো ভেবেছিলেন আজ হয়তো ৫-০ হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে তাদের খুশি হওয়ার কথা।আগে গোল করতে পারাটা সবসময়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ক্লেটনের সুযোগ নষ্ট, নুঙ্গার চোটের প্রভাব আমাদের খেলায় পড়েছে। সঙ্গে ফুটবলারদের ক্লান্তিও একটা ফ্যাক্টর। ক্লেটনের হেডটা গোলে ঢুকলে বা শেষে বিষ্ণুকে করা ফাউলে পেনাল্টি পেলে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত ।” প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে মোহনবাগান এগিয়ে যাওয়ায় মনে করা হচ্ছিলো ফের বড় ম্যাচে ৫ গোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আঁচ গিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। যা কুয়াদ্রাতের কথায় স্পষ্ট। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ প্রথমার্ধে আমাদের খেলা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে আমরা পাঁচ গোল খাব, ১৯৭৫-এর পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমার ছেলেরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনিয়ররা তো বটেই, সায়ন ও বিষ্ণুর মতো তরুণরাও শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছে। ওদের এই লড়াকু মানসিকতায় আমি খুশি।“

শেষ চার ডার্বিতে লাল-হলুদের যে পারফরম্যান্স নজের এসেছিল, রবিবার প্রথমার্ধে তা একেবারেই চোখে পরেনি। আর এর জন্য কুয়াদ্রাত ক্লান্তিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান। এই নিয়ে তিনি বলেন, “ পরিস্থিতিকে মাথায় রাখতে হবে আমাদের। আধুনিক ফুটবলে জিপিএস এবং অন্যান্য প্রযুক্তি রয়েছে। সেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, আমাদের ফুটবলারদের উপরে গত কয়েক মাসে অনেক ধকল গিয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে আমরা খেলতেই পারিনি। ফুটবলারেরা ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত। দুর্ভাগ্যবশত এই সূচিই আমাদের মেনে নিতে হবে।”

আরও পরুন- Breakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস

Previous article“এই উপলব্ধি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ”! অস্কার মঞ্চে ওপেনহাইমারের জয়জয়কারে আবেগপ্রবণ নোলান  
Next article“খেলা হবে” স্লোগান তুলেই প্রচার শুরু তৃণমূলের বিশ্বকাপ জয়ী প্রার্থী কীর্তি আজাদের