মোদি সরকারকে লোকসভা ভোটে ‘‌সাজা’‌ দেওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষক নেতাদের

কৃষক নেতাদের বক্তব্য, আন্দোলনের পর মোদি সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে

দিল্লির রামলীলা ময়দানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সমাবেশ থেকে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কৃষক নেতারা। কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, মোদি সরকার কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়েছে। এমএসপি-‌র আইনি নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের অন্নদাতা কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে সরকার।রামলীলা ময়দানের সভা থেকে কৃষক বিরোধী সরকারকে লোকসভা ভোটে ‘‌সাজা’‌ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। দিল্লিতে কৃষক সমাবেশের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার এই সমাবেশ। ‘‌কিষাণ-‌মজদুর মহাপঞ্চায়েত’ কর্মসূচিকে ঘিরে দিল্লিতে যানজটের আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই ট্রাফিক অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে।‌

কৃষক নেতাদের বক্তব্য, আন্দোলনের পর মোদি সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। সেই সময় কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের অন্য দাবিগুলি মেনে নেওৌয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি এখনও পূরণ হয়নি। অভিযোগ, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসেনি সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার দাবি থেকে কৃষি ঋণ মকুব, কৃষক আন্দোলনের সময় ৭৫০ জন মৃত কৃষকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোর্চা। সরকারের তরফে এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কৃষক নেতা হান্নান মোল্লার। তিনি জানান, সমাবেশ থেকে দেশের কৃষকদের বার্তা দেওয়া হয় যে কৃষক বিরোধী মোদি সরকারকে ভোট বাক্সে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার।

কৃষক নেতাদের অভিযোগ, দিল্লির সীমানায় কৃষকদের ৩৮০ দিনের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ফসলের ন্যূনতম দামের আইনি গ্যারান্টি দেওয়া হবে। কৃষি ঋণ মকুব করা হবে। আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি। পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় বেশ কিছু কৃষক সংগঠন সম্প্রতি ফসলের দামের আইনি গ্যারান্টির দাবিতেই আন্দোলন চালাচ্ছিল। তাতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা যোগ দেয়নি। কিন্তু সেই কৃষকদের উপরে যে ভাবে পুলিশি অত্যাচার চালানো হয়েছে, ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেলা হয়েছে, দিল্লির সীমানার ফের পেরেক পুঁতে, কাঁটাতার, কংক্রিটের পাঁচিল, লোহার ব্যারিকেড ফেলে তাঁদের দিল্লি আসার রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কৃষক নেতারা।

 

 

Previous articleশনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা! নজরে বাংলার দফা
Next articleআগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি! বড় আপডেট হাওয়া অফিসের