বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বাংলার মানুষের উৎকণ্ঠার কারণ ছিল একটাই। গুরুতর আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার লড়াকু নেত্রীর রক্তাক্ত ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তবে রাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। স্থিতিশীল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কপালে তিনটে এবং নাকে একটা স্টিচ করার পর এখন বাড়িতেই বেড রেস্টে মুখ্যমন্ত্রী। মেডিকেল বুলেটিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শুক্রবার ফের পর্যবেক্ষণ করা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিন সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গের কর্মসূচি সেরে সোজা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই দুর্ঘটনা। দেরি না করে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিষেক।

সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে মমতার রক্তাক্ত কপালের ছবি পোস্ট করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। সেই ছবিতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের ঠিক মাঝখানে কেটে গিয়েছে। সেখান থেকে রক্ত গড়িয়ে নাকের পাশ দিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে গলা পর্যন্ত নেমেছে। এমনকি নাকেও রয়েছে ক্ষত। এরপরই বাংলার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়। সব দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। রাতের দিকে হাসপাতাল থেকে মমতা বাড়ি ফিরে যাবার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই পড়েছে। পিছন থেকে ধাক্কা লাগার কারণেই মমতা পড়ে গিয়েছেন বলে জানান মণিময়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। গভীর ক্ষত হয়েছে কপালে। ক্ষতস্থান থেকে অনেকটা রক্তও বেরিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান, মেডিসিন এবং কার্ডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন। ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করানো হয়। ইসিজি, ডপলার, ইকো স্ক্রিনিং, সিটি স্ক্যান-সহ বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালে রাতে তাঁকে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান। তবে এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে এবং শুক্রবার ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক সূত্রে খবর রাতে বিস্কুট এবং দুধ খেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, আপাতত তিনি ভাল আছেন।
