ব্রিটেনে বসেই ব্যক্তিগত অনুদানকারীদের তালিকায় শীর্ষে! লক্ষ্মীর ‘বন্ড’ যোগে বাড়ছে জল্পনা

গত মঙ্গলবারই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে রীতিমতো ধমকের সুরে নির্বাচনী বন্ডের যাবতীয় তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সময় যত গড়াচ্ছে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্য ঘেঁটে এমন এক বিষয় সামনে এল যা শুনলে অবাক হবেন আপনিও! ব্যক্তিগত অনুদানকারী হিসাবে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড কেনার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় ব্যবসায়ী (Indian Businessman) লক্ষ্মী মিত্তলের (Laxmi Mittal) বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলিকে ৩৫ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন মিত্তল। গত মঙ্গলবারই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (SBI) রীতিমতো ধমকের সুরে নির্বাচনী বন্ডের যাবতীয় তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। আর বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই তথ্য সামনে আনে নির্বাচন সদন। সেখানেই উঠে আসে লক্ষ্মী মিত্তলের নাম।

তবে তথ্যে অনেক ত্রুটি থাকার কারণে ফের শীর্ষ আদালতে ধমকের মুখে পড়তে হয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। বন্ডে ক্রেতা এবং প্রাপক রাজনৈতিক দলের তালিকা নিরবাকচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেওয়া হলেও সেখানে বন্ডের সিরিয়াল নম্বর ছিল না। আর সেকারণেই ফের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নতুন করে ‘সম্পূর্ণ’ তথ্য পাকাশের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বন্ডে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায় আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সম্পূর্ণ তথ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠাবে এসবিআই। আর সেই তথ্য নতুন করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।

স্টেট ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২২ হাজার ২১৭টি বন্ড কেনা হয়েছিল। তার মধ্যে সব দল মিলিয়ে বন্ড ভাঙিয়েছে ২২ হাজার ৩০টি। এদিকে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ছয় হাজার ৯৮৬ কোটি ৫০ লাখ। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখেই ব্যক্তিগত অনুদানকারী হিসাবে ভারতীয় ব্যবসায়ী লক্ষ্মীর নাম উঠে এসেছে। লক্ষ্মীর সংস্থার নাম আর্সেলরমিত্তল, সেটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা। তবে বর্তমানে লক্ষ্মী ব্রিটেনে থাকলেও সেখানে বসেই যে ভারতের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যে ভালোই যোগাযোগ রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসবিআই-এর তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মী মিত্তল ৩৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন এবং অনুদান দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদানকারীদের যে পরিমাণ অনুদান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে ৯ শতাংশেরও বেশি অর্থ একাই দিয়েছেন লক্ষ্মী। যদিও লক্ষ্মীর টাকায় আখেরে কোন দলের লক্ষ্মীলাভ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে শুধু লক্ষ্মী নন তিনি ছাড়াও ব্যক্তিগত অনুদানকারীদের তালিকায় রয়েছেন পলিক্যাব ইন্ডিয়ার প্রধান ইন্দ্র ঠাকুরদাস জয়সিংহনি। তিনি ১৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

Previous article৪ মাস বয়সেই ২৪০ কোটির মালিক! ইনফোসিস কর্তার নাতির দখলে কত শেয়ার
Next articleসিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ নয়, জবাব দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ কেন্দ্রকে