গাজার হাসপাতালে ফের অভিযান ইজরায়েলের, নিকেশ ২০ হামাস জঙ্গি

গাজা ভূখণ্ডের আল-শিফা হাসপাতালে তীব্র হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মুহুর্মুহু নির্বিচারে গুলি-বোমার দাপটে সেখানে এখনও প্রাণ হাতে করে আটকে রয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। অনেকের প্রাণ গিয়েছে। আগুন ধরে গিয়েছে হাসপাতালের একটি ভবনে। ইজরায়েলের বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজায় কয়েক দিন আগেই হামাসের ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে বলে মনে করেছিল তারা। কিন্তু পরে তাদের কাছে খবর আসে যে আল শিফায় ফের ঘাঁটি তৈরি করছে এই সশস্ত্র বাহিনী। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কোনও হামলার পরিকল্পনা করার আগেই তারা সেই ঘাঁটি ধ্বংস করতে চায়।

হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের শুরু থেকেই ইজরায়েলি সেনার দাবি ছিল ওই হাসপাতালে সুরঙ্গের সাহায্যে নিজেদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। এবার সেই হাসপাতালেই অভিযান চালিয়ে ২০ জন হামাস জঙ্গিকে শেষ করল ইজারয়েলি সেনা।নিহতদের মধ্যে রয়েছে হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও। জঙ্গি সন্দেহে আরও ২০০জনকে আটক করা হয়েছে বলে ইজরায়েলি সেনা সূত্রে খবর।
এর আগে, গত বছর নভেম্বর মাসেও ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ইজরায়েল।এবার ফের হাসপাতালে অভিযানে সামিল হয় ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই হাসপাতালটিকে নিজেদের কমান্ডিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। সেইজন্য, বারবারই আল শিফা হাসপাতালে গিয়ে অভিযান চালিয়েছে নেতানিয়াহুর ফৌজ। এমনকি হামাসের বিরুদ্ধে পণবন্দিদেরও ওই হাসপাতাল চত্বরে লুকিয়ে রাখারও অভিযোগ করে ইজরায়েলি সেনা।
একসঙ্গে, স্থলপথ ও আকাশপথে আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালানো হয় বলে জানান ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। জঙ্গি দমনে রাতভর অভিযান চালানো হয়। সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ছিলেন, হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ কার্যকরী প্রধান ফায়েক আল মাভু। ইতিমধ্যেই তার দেহ শনাক্ত করেছে গাজার পুলিশ।
২০ জন জঙ্গির মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে প্রচুর অস্ত্র ও অর্থও উদ্ধার করেছে ইজরায়েলের সেনা। যদিও হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে এই সেনা অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। গত ৭ অক্টোবর গাজার ইজরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ হাজার ৭২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৯২ জন বলে সূত্রের খবর।

হামলার পাশাপাশি আল-শিফা এলাকার চারপাশে ইস্তাহার ছড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছে বাহিনী। আল শিফার চারপাশ এখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র।বাহিনীর হামলার পরেই অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির কাছে গাজার হাসপাতাল বাঁচানোর দাবি জানাল হামাস।

 

Previous article“সপরিবারে ঝেড়ে খাবো, এমন দলেই সবাই যাবো”! ভোটের প্রচারে ব্যঙ্গচিত্রে শুভেন্দুকে তোপ!
Next articleআগামী মরশুমে কি লাল-হলুদে ডেভিড? জল্পনা তুঙ্গে