বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া আইন চালুর পথে কলকাতা পুরসভা!

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা।বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া আইনের পথে কেএমসি। পুলিশ প্রশাসন ও আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর, নতুন করে নোটিফিকেশন করা হল কমিশনারের তরফে। একদিকে যেমন ৪০১-এর ‘এ’ ধারা অনুযায়ী বেআইনি নির্মাণকারীর ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তেমনই এই আইনকে কমপক্ষে ৭ বছর এবং তার বেশি করার প্রক্রিয়া শুরু হল। একইসঙ্গে আইনের এই ধারার সঙ্গে প্রতারণা এবং জোচ্চুরি আইনের ধারাগুলি যোগ করা যায় কিনা তার জন্য, শহরের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং পুলিশকে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে নোটিফিকেশনে নির্দিষ্টভাবে কলাম করে বলে দেওয়া হয়েছে কীভাবে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে। এতদিন পর্যন্ত ৪০১ ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র নোটিশ দিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন পুর ইঞ্জিনিয়াররা। পরবর্তীকালে ৪০৮ ধারা অনুযায়ী সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যেত পুরসভা। এর মাঝে আর কোনও পদক্ষেপ ছিল না।

এবার থেকে যা করা হবে-

(১) একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেকদিন তাঁর এলাকায় ঘুরে চিহ্নিত করা বেআইনি নির্মাণগুলির ওপরে নজরদারি চালাবেন।

(২) একটি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জানাবেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, এলাকার ডেপুটি কমিশনার, এমনকি জয়েন্ট কমিশনের মুরলীধর শর্মাকেও একটি চিঠি দিয়ে জানাবেন।

(৩) বেআইনি নির্মাণে স্টপ ওয়ার্কের নোটিস দেওয়ার পরেও কাজ বন্ধ না হলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ওই নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করবেন।

(৪) সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়াররা একটি ভাঙার প্ল্যান তৈরি করে তার ডিজি বিল্ডিং-এর কাছে জমা দেবেন।

(৫) বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে যদি স্থানীয় থানা থেকে কোনওরকম গড়িমসি দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার তৎক্ষণাৎ ডিজি বিল্ডিং এবং কমিশনারের নজরে আনবেন বিষয়টি। কমিশনার তৎক্ষণাৎ জয়েন্ট কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাবেন।

(৬) ৪০১ নোটিশ দেওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

Previous articleক্যানসারে আক্রান্ত কেট মিডলটন! ব্রিটিশ যুবরানি নিজেই জানালেন চিকিৎসার কথা
Next articleবসন্ত উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে