প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার! ভোটের আগে মোদির আরও এক ‘ভাঁওতা’ সামনে আনলেন কুণাল

ভোটের মুখে ফের প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘জুমলার’ আসল চেহারা। ভোট যত এগিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক মিথ্যাচার সামনে আসছে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশবাসীকে বোকা বানানোর নয়া চাল। মোদি জানিয়েছেন বাংলায় আর্থিক তছরুপের যে টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate), সাধারণ মানুষের মধ্যে তা বিলিয়ে দেওয়া হবে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোনে এই কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আর ভোটের আগে মোদির এমন মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। বুধবার, তৃণমূলের রাজ্যা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ জানান, এটা মোদির ভাঁওতা। ভোটের আগে আরেকটা বড় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। যা একেবারেই ভিত্তিহীন। কুণালের অভিযোগ, কোনওদিন কোনও টাকা দেওয়ার ইচ্ছে বিজেপির নেই। ওরা দিতেও পারবেন না। এরপরই কারণগুলি একে একে সামনে নিয়ে আসেন কুণাল। তিনি জানান, প্রথমত নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন পরের বা নতুন সরকার গঠন হলে দেখব। আপনার যদি সত্যিই ইচ্ছে থাক্ত তাহলে এই সরকারের আমলে তা করেননি কেন? চলতি আইনে করেননি কেন? কেন পরের সরকার এলে দেখবেন? অর্থাৎ মোদ্দা কথা পুরোটাই ভবিষ্যতের কোর্টে বল ঠেলে দিচ্ছেন।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আগামীদিনে নতুন আইন আনার চেষ্টা করব। যদি সত্যি করার হতো তাহলে এতদিনে আপনি বহু আইন আনলেও এই আইন আনতে পারল না কেন?

তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলেই সেই টাকা বিলি করা যাবে সেটা তো এতো সহজ নয়। বর্তমানে কেসগুলির মামলা চলছে কোর্টে। আগে সেগুলি শেষ হবে, ফয়সালা হবে, তারপর ইডি যদি জেতে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি যাঁর থেকে টাকা মিলেছে তিনি যদি অপরাজিত হন তারপরই সেই টাকা সরকারের হাতে আসবে। এরপরই তীব্র আখ্রমণ করে কুণাল বলেন, সরকারের হাতে টাকা এলে তা বিতরণ করা হবে কী না সেটা পরের কথা, কিন্তু যখন মামলা চলছে সেক্ষেত্রে এই বাজেয়াপ্ত করা টাকা কোনওভাবে বিতরণ কোনওভাবেই সম্ভব নয়। সবশেষে কুণাল মনে করিয়ে দেন, যদি গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা সত্যি আসে তাহলে আপনি এই ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকার কথা বলছেন কেন প্রধানমন্ত্রী? আগে বাংলার গরিব, পরিশ্রমী মানুষকে তাঁদের বকেয়া টাকা ফিরিয়ে দিন।

বাংলায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি টিকিট দিয়েছে ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়কে। বিজেপি সূত্রে খবর, অমৃতাকে উৎসাহ দিতেই ফোন করেন মোদি। তখনই জানান, বাংলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেই অর্থ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এই জুমলার তীব্র প্রতিবাদ করে তৃণমূল।

Previous articleকোচ ইভানোসেভিচের সঙ্গে ৬ বছরের সম্পর্কে ইতি টানছেন নোভাক জোকোভিচ!
Next articleকৃষ্ণচন্দ্র ব্রিটিশের পক্ষে ছিলেন! মেনে নিলেন বিজেপির প্রার্থী রাজার বংশধর