সরকারের পক্ষে বেকারত্বের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়! উপদেষ্টার মন্তব্যে অস্বস্তিতে মোদি

দেশে বেকারত্বের সমস্যা চরমে। এই নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় মোদি সরকার। এবার লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চূড়ান্ত বেকায়দায় ফেললেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বেকারত্বের সমস্যার সমাধান সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বুধবার ভারতের বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে একটি যৌথ রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবকদের অনুপাত হু হু করে বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকার তরুণদের মধ্যে শিক্ষিতদের ভাগ ২০০০ সালে ছিল ৩৫.২ শতাংশ তা ২০২২ সালেই বেড়ে পৌঁছেছে ৬৫.৭ শতাংশে। এর পাল্টা কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলেন, বেকারত্বের মতো সমস্যা সমাধানের চেয়ে রোগ নির্ণয় করা সহজ।

 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখেল জানিয়েছেন, “এটাই মোদি গ্যারান্টি। এত দিন ধরে আকাশছোঁয়া বেকারত্বের কথা অস্বীকার করে মোদি সরকার শেষে মেনে নিয়ে বলল, তারা এর সমাধান করতে পারবে না।” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের জানিয়েছেন, “মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। এটাই যদি বিজেপি সরকারের অবস্থান হয়, তাহলে বিজেপিকে গদি খালি করার কথা বলতে হয়।” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মতে, “কর্পোরেট ও হিন্দুত্বের আঁতাঁত ভারতকে অচল করে দিচ্ছে। ভারতের ভবিষ্যতের স্বার্থে এই সরকারের যাওয়া উচিত।”

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদি বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মোদি জমানাতেই বেকারত্ব ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকারি পরিসংখ্যানই। আইএলও রিপোর্ট জানিয়েছে, বেকারদের মধ্যে এখন ৮৩ শতাংশ তরুণ।

আরও পড়ুন- বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে মেয়রের ফোন

Previous articleকেন্দ্রের ‘পাতা ফাঁদে’ পা দেবেন না! মোদি সরকারের ‘অর্থনীতির’ আসল রহস্য ফাঁস রাজনের
Next articleভোট প্রচারের মাঝেই হার্দিকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বহরমপুরের তণৃমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান