ড্রাগ মাফিয়ার হয়ে প্রচার করব না, বারাসতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপিতে বিদ্রোহ; কমিশনে দলীয় কর্মীরাই!

দলের নেতা-নেত্রীরাই স্বপনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন! যা নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল।

বারাসতে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার হওয়ার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন দলীয় কর্মীরা। দলের নির্বাচনী কার্যালয় এবং জেলা পার্টি অফিসে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেও দেখা গিয়েছিল। এবার তারা সাফ জানিয়ে দিলেন, ড্রাগ মাফিয়ার হয়ে প্রচার করব না। বারাসতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপিতে বিদ্রোহ। এমনকী, আরও এক পা এগিয়ে দলের নেতা-নেত্রীরাই স্বপনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন! যা নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল।

স্বপনের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছিল। অবশ্য তার সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ।ওই ভিডিওতে  এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, সেই স্বপন মজুমদার এক জন ড্রাগ মাফিয়া। এ রকম একজন প্রার্থীর হয়ে কী ভাবে আমরা ভোটপ্রচারে যাব?  বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি জায়গায় স্বপনের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। এ বার স্বপনের বিরুদ্ধে গত ভোটে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ তুললেন দলীয় নেতা-নেত্রীদের একাংশ। এ নিয়ে তাঁরা কমিশনেও নালিশ জানিয়েছেন। অশোকনগরের বিজেপি নেত্রী উৎপলা বিশ্বাস এবং বারাসতের বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার কমিশনকে এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মাদক আইনে স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ট্রেন সফরের সময় তাঁর কাছে মাদক পাওয়া যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে শাসকদল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স  হ্যান্ডলে একটি খবরের কাগজের কাটিং এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে স্বপনের মনোনয়নপত্রের একটি অংশের ছবি পোস্ট করেছিলেন। সঙ্গে লিখেছিলেন, ইনিই কি সেই বিজেপির বারাসতের প্রার্থী? যদি তা-ই হন, তা হলে তিনি মাদককাণ্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি এর ব্যাখ্যা দিক।






 

Previous articleজঙ্গল উড়িয়ে কীভাবে আদানির হাতে কয়লাব্লক? নেই পরিবেশ দফতরের অনুমোদন
Next articleমহারাষ্ট্রে আসনরফা নিয়ে সমস্যা! ভোটের মুখে উদ্ধবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে NCP-কংগ্রেসের