NDA-তে গিয়েই ‘সাধু’! প্রফুলকে ‘ক্লিনচিট’ দিতেই সিবিআইকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ খোঁচা ব্রাত্যর

এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান লিজ দেওয়ার ঘটনায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেলকে (Praful Patel) ক্লিনচিট (Clean Cheat) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI)। ২০১৭ সালে প্রফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সম্প্রতি সেই মামলায় একটি ক্লোজার রিপোর্ট (Closer Report) পেশ করেছে সিবিআই। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। আর লোকসভা নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ক্লিনচিট দিলেও আদৌ সেই রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে কী না তা ঠিক করবে সিবিআই আদালত। এদিকে আগামী ১৫ এপ্রিল প্রফুলকে মুক্তি দিয়ে মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই আদালত। এদিকে ভোটের মুখে বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ (Washing Machine) আখ্যা দিয়ে ফের আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।

শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে সরব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাফ জানানো হয়, আপনারা ক্রোনোলজি বুঝুন। ২০১৭ সালের মে মাসে সিবিআই একটি কেস রেজিস্টার করল প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শরদ পাওয়ারের সঙ্গত্যাগ করে ছেড়ে এনডিএতে যোগ দেন তিনি। আর ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ সিবিআই তাঁকে ক্লিনচিট দিয়ে একেবারে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের আরও অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেন, আগে চোর চুরি করলে জেলে যেত, আর এখন বিজেপিতে যায়। অন্যদিকে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব। তিনি লেখেন, ওয়াশিং পাউডার ভাজপা! এরপরই ব্রাত্যর অভিযোগ, প্রফুল প্যাটেল বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে একেবারে ‘শুদ্ধ’। আর এতেই প্রমাণ হচ্ছে সিবিআই “নিরপেক্ষতা ও পরিশ্রমের” প্রতীক। এরপরই মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো ফের তাদের মেরুদণ্ডহীনতার প্রমাণ দিল। গণতন্ত্রকে মোদির নেতৃত্বাধীন সংস্থা হত্যা করেছে বলেও এদিন আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

২০১৭ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান লিজ দেওয়ার ঘটনায় প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে দু’টি মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বোয়িং ১১১টি বিমান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই বিমান কেনার জন্য বিদেশি ও ভারতীয় ব্যাঙ্কের থেকে এত ঋণ নেওয়া হয়েছিল যে সংস্থার ব্যালেন্স শিটেই বিস্তর গরমিলের অভিযোগ ওঠে। এদিকে অপর একটি এফআইআরে অভিযোগ, সরকারের বাইরের কিছু লোকের সঙ্গে মিলে মন্ত্রকের আধিকারিকরাই বিমান লিজের ঘটনায় সরাসরিভাবে যুক্ত। ২০০৬ সালে এই বিমান লিজ নেওয়ার চুক্তি হয়েছিল বলে খবর। এদিকে গতবছরই শরদ পাওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনডিএ-তে যোগ দেন প্রফুল প্যাটেল।

Previous articleউপনির্বাচনে বরাহনগরে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা, ভগবানগোলায় রেয়াত হোসেন
Next articleশিক্ষাক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা! মোদি সরকারকে “বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, স্বেচ্ছাচারী” তোপ ব্রাত্যর