রবিবারের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর দৃশ্য। তারপর অনেক রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে অনেক মাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস কেন দেওয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলার উত্তরের জেলাগুলিতেও কালবৈশাখী, ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তবে টর্নেডো বা ঘুর্ণিঝড়ের সূত্রপাত যে সময় ও এলাকা জুড়ে হয় তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না। তবে বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস সোমবারই দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একইসঙ্গে, বৃষ্টিরও সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। হতে পারে শিলা বৃষ্টিও। উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবারের পর মঙ্গল ও বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের পাশাপাশি কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারেও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বুধবারের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চললেও, শুষ্ক থাকবে দক্ষিণবঙ্গ। আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাডগ্রাম, দুই বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
