টর্নেডোর তাণ্ডব নিয়ে দিলীপের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়, অস্বস্তিতে বিজেপি

এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি জেলার অনেক অংশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে কি রাজনৈতিক ঝড়ের উল্লেখ করা সঙ্গত?

ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।রবিবার রাতে ঝড় থামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে বিশেষ বিমানে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আবহে টর্নেডোর তাণ্ডব নিয়ে কোনও রাজনীতি প্রকাশ পায়নি। কিন্তু বিতর্ক তৈরি করে ফেললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী দিলীপ সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে টর্নেডো বিপর্যয়কে রাজনীতির মোড়ক দিয়ে দেন। দাবি করেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির ঝড়েই সব লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ঝড় তো উত্তরবঙ্গে শুরু হচ্ছে। ভোট ওই দিক থেকেই শুরু হচ্ছে। বিজেপির ঝড় শুরু হচ্ছে। তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে।’’

আসলে প্রথম দফাতেই ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক ঝড় দেখা গিয়েছিল। উত্তরের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। জলপাইগুড়ি আসনেই ১ লাখ ৮৪ হাজার ভোটে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি জেলার অনেক অংশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে কি রাজনৈতিক ঝড়ের উল্লেখ করা সঙ্গত?

সরাসরি দিলীপের নিন্দা করেছে তৃণমূল। দলের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘‘দুর্যোগের খবর পেয়ে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বিজেপির দিলীপ ঘোষ এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যেও ‘মশকরা’র রসদ খুঁজে পেয়েছেন! তাঁর এই অমানবিক আচরণকে ধিক্কার।’’ এখানেই না থেমে তৃণমূল লিখেছে, ‘‘দিলীপবাবু, মানুষ কেন বার বার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রাখেন, সেটা বুঝতে পারছেন তো? বাংলার মানুষই আপনাদের এই ঔদ্ধত্য, অমানবিকতার জবাব দেবেন।’’এর আগেও আলটপকা মন্তব্য করে দিলীপ দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। আর সে সবের বেশির ভাগই প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বর্ধমান শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘আপত্তিজনক’ মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যে দল যে দিলীপের পাশে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রকাশ্যে চিঠি দিয়ে নিন্দা করে। দলকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়। তৃণমূলের নালিশের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও দিলীপের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে।ফের বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ।






 

Previous articleপার্টি ফান্ডে টাকা নেই, তমলুকের বাম প্রার্থীর হাতে পেনশনের টাকা তুলে দিলেন শিক্ষক
Next articleকৃষক আন্দোলনে শহিদের মৃত্যুর তদন্ত প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের