শুভেন্দুর বিরোধিতা করে ক্যানিংয়ে ‘ডুবন্ত জাহাজ’কে বিদায় ২৫০ জন বিজেপি কর্মীর! কটাক্ষ কুণালের

শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথাবার্তা ও প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণে বিরক্ত হয়ে এবার দল ছাড়লেন বিজেপি (BJP) নেতাকর্মীরা। লোকসভা ভোটের মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে (Canning) প্রায় ২৫০ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। ওই এলাকায় শুভেন্দুর কর্মসূচির পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপির ওই নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও (TMC)।

ঘটনা গত মঙ্গলবারের। ওই দিন বিজেপি একটি পদযাত্রা করে। যেখানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। এলাকার তৃণমূল নেতাদের নাম করে শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “সন্দেশখালির মতো সোজা করে দেবো।” পাল্টা সভা করে তার জবাব দেয় তৃণমূলও। সেই মঞ্চেই শুভেন্দুদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অন্তত ২৫০ বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সমর্থক। শুভেন্দুর বক্তব্যে, কটুক্তিতে বিরক্ত হয়ে ২৫০ জন নেতা, কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

এবার এক্স হ্যান্ডেলে সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের আরেক রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি লিখছেন, “ক্যানিংয়ে প্রায় ২৫০ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজকে বিদায় জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট, বাংলার জনগণ মা, মাটি, মানুষকে বেছে নিচ্ছে বাংলা-বিরোধীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। একটি দল, তার নেতাদের মধ্যে কোনও ঐক্য নেই। কীভাবে তারা দাবি করে যে তারা জনগণের সেবা করবে?”

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ক্যানিং বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিলে যেতে যেতে সে দিকে আঙুল দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির মতো সোজা করব।” তার পর সভা করেন। শুভেন্দু সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানান ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লাদের দিকে। এরপর ক্যানিং শহরে শওকত, পরেশ, জয়নগর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল ও সভা করেন। সেই সভা থেকে শুভেন্দুকে একের পর এক আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

Previous articleভারতের ইতিহাসে সবথেকে দামি হয়ে গেল সোনা-রুপো! মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
Next articleগল্প নয় সত্যি, বাড়ির উঠোনে উদ্ধার কলসি ভর্তি মুঘল রৌপ্য মুদ্রা!