গোয়েন্দা গল্পের পাতায় নয়, এবার বাস্তবেই উদ্ধার হল কলসি ভর্তি মুঘল আমলের রুপোর মুদ্রা (Silver Coin)। বীরভূমের কীর্ণাহার ধ্রুববাটি গ্রামের এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়ছে উৎসাহী মানুষের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল কীর্ণাহার (kirnahar, birbhum) গ্রামের জমিদার বংশ দত্ত বাড়ির উঠানে। সেই সময়ই উদ্ধার হয় কলসি ভর্তি রুপোর কয়েন। অবাক হয়ে যান সকলে। এখানেই শেষ নয় জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া রুপোর কয়েনগুলির গায়ে খোদাই করা রয়েছে আরবি ভাষা। প্রত্যেকটি কয়েনের ওজন প্রায় ১১ গ্রাম!
‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা!’- রবি ঠাকুরের কবিতার লাইন ধরে আক্ষেপ করার দিন এখন শেষ। অন্তত তেমন কথাই বলছে লাল মাটির বীরভূম। জমিদার বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হওয়া রুপোর কয়েন কুড়োতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। এই বিষয়ে পরিবারের তরফে জানানো হয়, পুরনো বাড়ির উঠোনে মাটি খুঁড়ে পুকুর তৈরির কাজ চলছিল। সেই মাটি তুলে চতুর্ভুজপুর ও জামনা যাওয়ার রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছিল । ট্রাক্টরের সঙ্গেই হয়তো চলে যায় ওই রুপোর কয়েনের কলসি, তবে এই বিষয়ে বিশদে তাঁরা কিছু জানেন না বলে জানান ওই পরিবারের এক সদস্য বিশ্বজিৎ দত্ত। স্থানীয়রা বলছেন, জমিদার বাড়ির মাটি কেটে রাস্তায় ফেলার পরই রুপোর কয়েন ভর্তি কলসি দেখতে পান তাঁরা। রুপোর কয়েন কুড়োতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকেই ওই ঐতিহাসিক মুদ্রা সংগ্রহ করেন। সূত্রের খবর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুদ্রা গুলিকে পরীক্ষা করবে। আনুমানিকভাবে রৌপ্য মুদ্রা মুঘল আমলের বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।