মায়ের অভিশাপ বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াবে, রঙিন মিছিল শেষে হুঙ্কার মমতার

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার অধিকার তোমাদের কে দিল? তোমরা দেশেও ক্ষমতায় আসবে না, বাংলায় জিরো হবে। বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে। যতদিন বাঁচবে ততদিন চলবে

কোচবিহারের বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার নিদানকে শিলিগুড়ি থেকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার যে বার্তা বিজেপির মঞ্চ থেকে দেওয়া হয়েছিল তার পাল্টা মমতা দাবি করেন, “ক্ষমতা থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেখাক!” তিনি দাবি করেন, বিজেপির এই চিন্তাভাবনার জন্যই মায়েদের অভিশাপে কলঙ্কিত হবে বিজেপি, দেশেও ২০০ আসন পাবে না বিজেপি। দার্জিলিংয়ের প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে শিলিগুড়িতে রোড শো শেষে উত্তরের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। দার্জিলিংয়ে বিজেপির বাইরের প্রার্থীকে পরাস্ত করে ঘরের প্রার্থী গোপাল লামাকে জেতানোর আবেদন করেন।

নির্বাচনের তিনদিন আগে শিলিগুড়ি শহরে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে যে মিছিল করেন দলের সুপ্রিমো, সেই মিছিল পাহাড় থেকে তরাইয়ের সব জনজাতির মানুষের সঙ্গে হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, মুসলিম ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে হাজার রঙের মেলায় পরিণত হয়। মহাত্মা গান্ধী মোড় থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার মিছিলে সব জনজাতি নিজেদের সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে তুলে ধরে মিছিলকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পরিণত করেন। শিলিগুড়ি শহরের হিলকার্ট রোডে দুকূল ছাপিয়ে জন সমাগম দার্জিলিং লোকসভায় তৃণমূলের জনসমর্থনের ছবিকে স্পষ্ট করে। শোভাযাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাঁটেন প্রার্থী গোপাল লামা, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

হালকা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শোভাযাত্রা শেষে বাঘাযতীন পার্কে প্রার্থীকে পাশে দাঁড় করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামীদিনে বিজেপি থাকলে দেশ বিক্রি করে দেবে। বিজেপিকে সরান, তৃণমূলের জোড়াফুলকে নিয়ে আসুন। বিজেপি জিতবে না, ক্ষমতায় আসবে না। ওরা ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনবে। তাহলে আপনাদের কোনও অধিকার থাকবে না। দেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না। দেশকে বাঁচাতে চাইলে তৃণমূলের জোড়া ফুলে ভোট দিন। আর পুরো দেশে আমাদের যত বন্ধু রাজনৈতিক দল আছে তাদের সঙ্গে মিলে আমরা সরকার তৈরি করব।”

তবে এরপরই বিজেপি নেত্রীর তিনমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার হুমকিকে চ্যালেঞ্জ করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, “মায়ের অভিশাপ তোমাদের কলঙ্কিত করবে, তোদের দেশ থেকে তাড়াবেই। এত বড় সাহস! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার অধিকার তোমাদের কে দিল? তোমরা দেশেও ক্ষমতায় আসবে না, বাংলায় জিরো হবে। বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে। যতদিন বাঁচবে ততদিন চলবে।” সেই সঙ্গে বিজেপির এই ধরনের বক্তব্যের জন্য বিজেপির নিরাপত্তাহীনতাকে দায়ী করে বলেন, “আসলে হিংসা। বিজেপি এত হিংসুটে হয়ে গিয়েছে, কারণ তাঁরা জেনে গিয়েছে তাঁরা ২০০ আসনও পাবে না দেশে, যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাঁরা।”

শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের মঞ্চে সব জনজাতির মানুষকে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে প্রবীন খ্রিষ্টান সাধিকাকে সামনের সারিতে এলে পরিচয় করিয়ে দেন সকলের সঙ্গে। শিখ, ইসলাম, খ্রিষ্টান ধর্মের শীর্ষনেতাদের সঙ্গেও মঞ্চে প্রার্থী গোপাল লামার আলাপ করিয়ে দেন। তিনি বলেন প্রার্থী গোপাল লামা “কাজের লোক, মাটির লোক, শান্ত লোক”।

 

Previous articleবিজেপি জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে, বন্ধ হবে মাছ খাওয়াও: সতর্ক করলেন অভিষেক
Next article১৬ মাসের মেয়েকে ফেলে ঘুরতে গেল ‘মা’, খাবার না পেয়ে মৃত্যু শিশুকন্যার!