হঠাৎই দেখায় সৌজন্য আলিঙ্গন! দূরে যেতেই চেনা মেজাজে এক অপরকে নিশানা দিলীপ-কীর্তির!

দিলীপকে তোপ দেগে কীর্তি বলেন, “বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থান। সেখানে দাঁড়িয়ে একজন প্রার্থী ক্রমাগত কুমন্তব্য করে যাচ্ছেন।

আজ, সোমবার সকাল থেকে গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যে চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ চলছে। এই পর্বে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর! বামেরা থাকলেও লড়াই মূলত বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে। যেখানে বিজেপি প্রার্থী দাপুটে দিলীপ ঘোষ ও তৃণমূল প্রার্থী ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রাক্তন সদস্য কীর্তি আজাদ। গোটা প্রচার পর্বে যাঁদের বাকযুদ্ধ কার্যত রোজই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। আজ ভোটের দিনও ব্যতিক্রম হল না।

এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরছেন দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদ। আচমকা একটি বুথের বাইরে তাঁদের দেখা হয়। মুখোমুখি একে অপরকে এড়িয়ে যেতে পারেননি। দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গন। ভোটের দিন সৌজন্যের ছবি দেখল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। কুসুমগ্রামে হঠাৎই দেখা হয়ে যায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদের। একে অপরের সঙ্গে দেখা হতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন দু’জনে। হাসিমুখে করমর্দনের পর করেন আলিঙ্গনও। তবে সৌজন্যের ছবি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দূরে যেতেই পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দুই প্রার্থী।

দিলীপ ঘোষ প্রতিপক্ষ কীর্তির উদ্দেশে বলেন, “হতে পারে উনি বড় ক্রিকেটার। কিন্তু আমার সঙ্গে উনি কখনও খেলেননি। খেলা এ বার শেষ হবে। আর খেলা হবে না। ওই গানও বাজবে না।”

পাল্টা দিলীপকে তোপ দেগে কীর্তি বলেন, “বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থান। সেখানে দাঁড়িয়ে একজন প্রার্থী ক্রমাগত কুমন্তব্য করে যাচ্ছেন। উনি একটা সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন। ওনার মুখে এমন ভাষা মানায় না। আসলে দেশের প্রধানমন্ত্রীও কুরুচিকর ভাষায় কথা বলছেন। উনি তো ওই দলেরই। তাই ওনাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই!”

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleবাংলায় ভোটের ডিউটিতে এসে মৃত্যু উত্তরাখণ্ডের জওয়ানের!